আইনশৃঙ্খলার আরও শক্তপোক্ত করতে নন্দীগ্রামে আরও দু’টি থানা তৈরি করতে চায় নবান্ন। এখানে নানারকম হিংসার খবর আসছে। আর তা একটা থানা দিয়ে পুরোটা সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে। এই কারণে নন্দীগ্রাম থানা ভেঙে রেয়াপাড়া এবং তেখালি এই দুটি নতুন থানা করার চিন্তাভাবনা রয়েছে নবান্নের। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নবান্নকে এমন প্রস্তাব দিয়েছিল। তাতেই সিলমোহর পড়েছে বলে সূত্রের খবর। ন🍌ন্দীগ্রামের থানা ভেঙে দুটি থানা তৈরি করা হলে আইনশৃঙ্খলা মজবুত রাখা যাবে। আর তৈরি করা হবে আরও দুটি নতুন আউটপোস্ট। এই আউটপোস্ট কার্যত থানার মতোই কাজ করে।
এদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে এই নন্দীগ্রামে হিংসার বাতাবরণ দেখা যাচ্ছে। যা 🌞চলেছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরও। ভোট পরবর্তী হিংসা থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষজন এবং নেতাদের উপর আক্রমণের খবর বারবার এসেছে। এই বিষয়টি নিয়ে জমি আন্দোলনের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম তপ্ত হয়ে রয়েছে। এবার এই নন্দীগ্রামে বাড়তি নজর দিতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। তাই নন্দীগ্রামের সম্পূর্ণ আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে আরও নজরদারি বাড়াতে চাইছে রাজ্য সরকার। আর তাই আগামী দিনে নন্দীগ্রামে থাকবে তিনটি থানা ও দুটি আউটপোস্ট। একটি থানা আছে এবং আওরও দুটি থানা হবে। কোন থানার অধীনে কোন এলাকাগুলি থাকবে সেটাও নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘চ📖োপড়ার ঘটনা নিয়ে আমাকে বকেছেন’, মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়ে চাপে বিধায়ক হামিদুল
অন্যদিকে তিনটি থানা থাকলে নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে বলে মনে করছে নবান্ন। রাজ্য–রাজনীতিতে নন্দীগ্রামের গুরুত্ব অনেক বেশি। এখন এই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিধানসভার 🎃বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জমি আন্দোলনের জেরেই সংবাদ শিরো🍸নামে আসে নন্দীগ্রাম। বামফ্রন্ট সরকারের পতনের ক্ষেত্রেও টার্নিং পয়েন্ট ছিল নন্দীগ্রাম। এই নন্দীগ্রামে এবার বাড়তি নজর দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। কারণ একটাই, এখানের আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে হবে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি আসন তমলুক এবং কাঁথি পেয়েছে বিজেপি। সুতরাং বাড়তি নজর তো দিতেই হবে।