বেশ কিছুদিন ধরেই নিষিদ্ধ মাদক পাচারের খবর আসছিল। এই নিয়ে তৎপর হয়ে ওঠে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। সীমান্ত পার করে তা আসছিল শহরে। আর নেশাগ্রস্তদের সংখ্যা বাড়ছিল। যা নিয়ে উদ্বেগ ছিল পুলিশ–প্রশাসনের। শহরে কী ঢুকছে নেশার দ্রব্য? এই নিয়ে চারদিকে খোঁজখবর শুরু হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে এবার সীমান্ত এনসিবি’র জালে ধরা পড়ল তিনজন।এনসিবি সূত্রে খবর, আজ, রবিবার উত্তর দিনাজপুরের ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ইঞ্জেকশন এবং সিরাপ। এগুলি বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছিল। বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে এদেশে মাদক আসার কথা ছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। গোটা দলকে পাকড়াও করা গিয়েছে। কিভাবে ধরা হল এই তিনজনকে? এনসিবি সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তদন্তকারীরা সেখানে পৌঁছে যায়। আর তাদের গ্রেফতার করে। এই তিনজনকে জেরা করে মূল চাঁইকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই তিনজন পাচারকারী হিসাবে কাজ করত। আগেও এই কাজ তারা করেছে।কী কী উদ্ধার হয়েছে? এমসিবি’র থেকে জানা গিয়েছে, এই তিনজনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৩৯২ বোতল মাদক সিরাপ এবং ১১৯৬ অ্যাম্প্লিউ ইঞ্জেকশন। রবিবার ভোরে বিএসএফকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ অভিযান চালাতেই ধরা পড়ে গিয়েছে এই পাচারকারীরা। এই মাদক ইনজেকশনের কাজ অনেকটা হেরোইনের মতোই। তবে দামে সস্তা। তাই নেশারুরা এটা নিতে চায়।