মাথার উপর চাঁদিফাটা রোদ্দুর। এপ্রিলে♔র শেষে রাস্তার পিচও গলতে শুরু করেছে। মারাত্মক গরম কলকাতায়। কবে একটু বৃষ্টি নামবে, হাপিত্যেশ করে বসে রয়েছেন শহরবাসী। আর এই সময়টা চলে যান অহলদারা(Ahaldara)। নামটা অচেনা লাগছে? তবে অফবিট ভ্রমণে যাঁরা অভ্যস্ত তাঁদের কাছে এই নামটা অবশ্য ইতিমধ্যেই চেনা হয়ে গিয়েছে। সেই কার্শিয়াংয়ের অহলদারা বা অহলডারা ভিউ পয়েন্টে ঘুরে আসতে পারেন একলা কিংবা সদলবলে। এর সঙ্গে সিটং তো রয়েছেই। মন আর শরীর দুটোই একেবারে জুড়িয়ে যাবে। অহলদারার বড় পাথরটার উপর দাঁড়িয়ে একবার বুক ভরে শ্বাস নিন। দেখবেন কেমন ফুরফুরে হয়ে যাবে এই জীবন। আর এপ্রিলেই শেষেও সোয়েটার পরতে হবে অহলদারায়𝕴।
কার্শিয়াংয়ের অহলদারা। বছরের বেশিরভাগ সময়ই পর্যটকদের ভিড় বিশেষ থাকে না। তবে কমলালেবুর মরসুমে একটু ভিড় শুরু হয়। তবে এখন বেশ ফাঁকা ফাঁকা। এনজেপিতে নেমে একটা গাড়ি নিয়ে নিতে পারেন। এরপর সেভক হয়ে সোজা সিটং। চারপাশে যা দেখবেন জন্ম জন্মান্তরেও ভুলবেন না। দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তার ভিড় ভাট্টা নেই এখানে। একদম ফাঁকা ফাঁকা।
কুয়াশায় মোড়া নির্জন পাহাড়ি পথ। সবুজে সবুজ চারপাশ। করোনেশন ব্রিজকে পেছনে ফেলে ছুটে চলা সুদূরের পানে। গাড়ি থেকে ন🐠েমে একবার দেখে নিতে পারেন সুন্দরী তিস্তাকে। দুপাশে গাছ। তার মধ্যে পিচঢালা চড়াই রাস্তা। এনজেপি থেকে প্রায় ৫০ কিমি কিমি দূরে সিটং। আর কমলালেবুর গ্রাম সিটং থেকে মোটামুটি ১৬ কিমি দূরে অহলদারা। সেলপু পাহাড়ের শীর্ষ পয়েন্ট। এখানে কয়েকটা মাত্র হোম স্টে আছে। তবে সিটংয়ের হোম স্টেতে থেকে দিনভর অহলদারাতে কাটিয়ে যেতে পারেন। পাহাড়, চা বাগান, নদী, কুয়াশা, নতুন সূর্য সব মিলিয়ে ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে চারপাশটা দেখুন। নির্জনে গল্প করুন। মন ভালো হয়ে যাবে।