আজ, রবিবার সকাল থেকেই গঙ্গাসাগরের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া। এদিন সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখা যায়। তার জেরে গঙ্গাসাগরের সি–ব্রিজ চত্বরে যে সমস্ত দোকানগুলি ছিল সেগুলি ইতিমধ্যেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী সংলগ্ন উপকূলবর্তী♌ বিভিন্ন এলাকায় চলছে মাইকিং প্রচার। আজ উপকূলে মেঘলা আকাশ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে বাকি জেলাগুলিতেও। আগামী কাল, সোমবার থেকে আবার তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে সকাল থেকেই ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা এলাকার বিভিন্ন নদী বাঁধ উপকূলবর্তী এলাকাতে মাইকিং প্রচার শুরু হয়েছে। সেখানে নেমেছে এনডিআরএফ–এর স্পেশাল একটি টিম। স্থানীꦏয় মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে 🦩গ্রামবাসীদের সচেতন করা হয়। সকাল থেকে এখানে সচেতনতার কাজ শুরু হয়েছে। দিঘাতেও মাইকিং চলছে। উপকূলে ঘূর্ড়িঝড়ের প্রভাব পড়লে যাতে ঠেকানো যায় তার জন্যই আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে কোনওভাবে গভীর 🍰সমুদ্রে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে না যায় তার জন্য সচেতন করার কাজ শুরু হয়েছে। নারায়ণপুরে একটি সচেতনতামূলক ক্যাম্প চালু করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে আজ, রবিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বিকালের পর বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টিপাত এবং ঘন্টায় ৪০ থেকে ৪৫ কꦗিলো෴মিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সকাল থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার করা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? শক্তি বাড়িয়ে পূর্ব–মধ্য বঙ্গোপসাগরে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে🍃 ঘূর্ণিঝড় মোখা। রবিবার এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘন্টায় ২৪০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আজ ১৪ মে রবিবার দুপুরে মায়ানমারের সিতওয়ে বন্দরের কাছাকাছি এটি ল্যান্ডফল করবে বলে খবর। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে থাকবে গতিജবেগ ২১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় আছড়ে পড়বে। বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মায়ানমারের উত্তর উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখানে বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং নদিয়া জেলায়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7mꦏe4aup