বিজেপি রাজ্যে সভা করার অনুমতি নেয় না বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। আবার অনুমতি নিলে তাতে ত্রুটি থাকে। ফলে সভা করার অনুমতি মেলে না পুলিশের কাছ থেকে। তখন কলকাতা হাইকোর্টে যান বিজেপি নেতারা। আর এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা💞 শুভেন্দু অধিকারীর উলুবেড়িয়ার সভার অনুমতি দিল না পুলিশ। আর তা নিয়ে জোর জলঘোলা হওয়া শুরু হয়েছে। আগামী বুধবার উলুবেড়িয়ার উত্তর কেন্দ্রে রাজাপুর বিডিও 👍অফিস সংলগ্ন মাঠে সভা করার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। পুলিশ সেই সভার অনুমতি না দেয়নি।
তাহলে কি সভা হবে না? এই ঘটনার পর বিজেপির পক্ষ থেকে তারি⭕খ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ২৪ মে। এই তারিখেও যদি পুলিশ অনুমতি না দেয়, তাহলে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। এই সভা সোমবার হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির উদ্যোগে উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রে রাজাপ💝ুরে করার কথা ছিল। এই ঘটনা নিয়ে হুগলি পুড়শুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল সরকার শুভেন্দু অধিকারী–সহ বিজেপি নেতাদের সভা করতে নানা অজুহাত দেখিয়ে তা বাতিল করে, তারপর আমরা যখন হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে আসি, তখন সভা করতে দেয় রাজ্যের পুলিশ। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? একুশের বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে পরপর সব নির্বাচনেই বিজেপি গোহারা হয়েছে। তারপর রাজ্যে অক্সিজেন পেতে এখন তাঁদের ভরসা ইডি–সিবিআইꦇ বলে মনে ক﷽রেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। আর সভা নিয়ম মেনে করে না বলে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ। এই বিষয়ে বিজেপির বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, ‘পাঁচ দিন আগে উলুবেড়িয়ার রাজাপুরে সভা করার অনুমতি চেয়েছিলাম পুলিশের কাছে। পুলিশ নানান কারণ দেখিয়ে দরখাস্ত বাতিল করে দেয়। শনিবার পর্যন্💛ত অনুমতি না মেলার জন্য আমꦛরা দিনটি পরিবর্তন করি। আগামী ২৪ মে সভা করার জন্য আবার আমরা পুলিশের কাছে অনুমতি চাইব। তাতেও যদি অনুমতি না দেয় তাহলে কলকাতা হাইকোর্টে যাব।’
কী বলছে কলকাতা হাইকোর্ট? আগামী ১৭ মে বাঁকুড়ার সিমলাপালে জনসভা করার কথা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। তারপর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়ের করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তখন কলকাতা হাইকোর্ট সভা করার অনুমতি দেয়। যদিও বিচারপতি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, ‘এই ধরনের মামলার প্রেক্ষিতে আগামী দিনে আবেদনকারীদের অনুষ্ঠানের অন্তত ১৫ দিন আগে আবেদন করতে হবে। তার চারদিনের মধ্যে পুলিশ সেই আবেদন নিয়ে তাদের মতামত জান𓆏াবে।’