উদ্বেগ, আশঙ্কা, দোলাচল তো আছেই। এরই মধ্যে পরীক্ষার ঠিক আগে এক NEET পরীক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিনি কীভাবে পরীক্ষা দেবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ থেকে প্রশাসনের আধিকারিক— সকলের কাছে দরবার করেও এখনও পর্যন্ত মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র।দুর্গাপুর সংলগ্ন দুবচুরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই পরীক্ষার্থীর কথায়, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর এক বছর কোথাও ভর্তি না হয়ে NEET–এর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। কোচিং সেন্টারে পড়েছেন। করোনার জেরে একটা বছর নষ্ট হয়ে যাক সেটা পরীক্ষার্থী বা তাঁর বাবা কেউই চান না। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, এই অবস্থায় কী করবেন বুঝে পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে এই তিনি দুর্গাপুর মহকুমা দফতর এবং মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন। আপাতত সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি।জানা গিয়েছে, ৪ সেপ্টেম্বর ওই পরীক্ষার্থী এবং তাঁর বাবার জ্বর হয়। তাঁরা করোনা পরীক্ষা করালে দু’জনেরই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সামান্য জ্বর ছাড়া আর তেমন কোনও উপসর্গ না থাকায় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শ মেনে দু’জনেই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। পরীক্ষার্থীর বাবা ইতিমধ্যে ছেলের পরীক্ষা কেন্দ্র দুর্গাপুরের ডিএভি মডেল স্কুলে যোগাযোগ করেছেন। তবে, স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা যে আইসোলেশন ঘরের ব্যবস্থা করেছেন তা করোনা আক্রান্তদের জন্য নয়। পরীক্ষা দিতে এসে থার্মাল চেকিং করে যদি দেখা যায় কোনও পরীক্ষার্থীর শরীরের তাপমাত্রা বেশি তাঁরাই শুধু ওই আইসোলেশন ঘরে পরীক্ষা দিতে পারবেন। নির্দেশিকায় কোভিড পজিটিভদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে কিছু বলা নেই।উল্লেখ্য, সারা দেশে ৮.৫৮ লক্ষ নথিভুক্ত পরীক্ষার্থীর মধ্যে এবার জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন পরীক্ষা দেন ৬.৩৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী। যদিও পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার চেয়েছিল করোনা পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি JEE ও NEET পরীক্ষা যেন না নেয় কেন্দ্র। এ নিয়ে কেন্দ্র–রাজ্য বিরোধের রেস আদালত পর্যন্ত পৌঁছোয়। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ মতো JEE Main পরীক্ষা হয় এবং আগামী রবিবার হতে চলেছে NEET পরীক্ষা। আর এখনও প্রশাসনের পথ দেখানোর আশায় দিন গুনছেন করোনা আক্রান্ত বাবা–ছেলে।