আটটি নয়া রেললাইন প্রকল্পে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয়🗹 মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, মোট আটটি নয়া লাইন চালু করার প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেজন্য প্রাথমিকভাবে খরচ ধরা হয়েছে ২৪,৬৫৭ কোটি টাকা। ২০৩০-৩১ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে। যে প্রকল্পের ফলে লাভবান হবে পশ্চিমবঙ্গও। সরাসরি নয়া লাইন দেওয়া না হলে♌ও পশ্চিমবঙ্গের উপরে ওই প্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। যে প্রকল্পের নির্মাণকাজের সময় তিন কোটি কর্মদিবস তৈরি হবে বলে দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী।
কোন কোন নয়া লাইনে অনুমোদন পড়ল?
১) গুনুপুর-থেরুবালি: ৭৩.৬২ কিলোমিটার। ওড়িশা💜র রায়গড়✱া জেলায় পড়বে।
২) জুনাগড়-নবরংপুর: ১১৬.২১ কিলোমিটার। ওড়িশার কালাহান্ডি এবং নবরংপুর জেলায়ꦓ পড়বে।
৩) মালকানগিরি-পান্𒊎ডুরংপুর𒊎ম (ভায়া ভদ্রচলম): ১৭৩.৬১ কিমি। মালকানগিরি (ওড়িশা), পূর্ব গোদাবরী (অন্ধ্রপ্রদেশ) এবং ভদ্রদ্রি কোঠাগুডেম (তেলাঙ্গানা) জেলায় পড়বে।
৪)🙈 বাদামপাহাড়-কেন্দুঝারগড়: ৮২.০৬ কিমি। ওড়িশ🐻ার কেওনঝড় এবং ময়ূরভঞ্জ জেলায় পড়বে।
৫) বাꦍংরিপোসি꧙-গোরুমহিসানি: ৮৫.৬ কিমি। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলায় পড়বে।
৬) বুরমুরা-চাকুলিয়া: ৫৯.৯৫ কিমি। ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম, পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম এবং ওড়িশার ময়ূরভ🌃ঞ্জ জেলায় পড়বে।
৭) বিক্রমশীলা-কাটার꧙িয়া: ২৬.২৩ কিমি। বিহারে ভ💛াগলপুর জেলায় পড়বে।
৮) জালনা-জলগাঁও: ১৭৪ কিমি। মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ জেলায় ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚপড়বে। যে প্রকল্পের ফলে অজন্তা গুহায় যাতায়াত সহজ হবে।
আসানসোল থেকে ওয়ারঙ্গল পর্যন্ত করিডর
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেচেন,ন, গুনুপুর-থেরুবালি, জুনাগড়-নবরংপুর এবং মালকানগিরি-পান্ডুরংপুরম (ভায়া ভদ্রচলম) প্রকল্পের ফলে পশ্চিম ওড়িশা থেকে দক্ষিণ🔯 ওড়িশা পর্যন্ত একটি করিডর তৈরি হবে। যা যুক্ত করবে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলাঙ্গানাকে। আরও যদিও খুঁটিয়ে দেখা যায়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল থেকে তেলাঙ্গানার ওয়ারঙ্গল পর্যন্ত একটি সম্পূর্ণ করিডর তৈরি হয়ে যাবে।
বৈষ্ণবের দাবি, আর্থিক, পর্যটন, কর্মসংস্থান, খনিজ সুরক্ষা এবং শক্তি সুরক্ষার দিক থেকে এই করিডর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। পূর্ব উপকূলের বন্দরগুলির সঙ্গে যꦯোগাযোগ তৈরি হবে ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশার। যখন ওই তিনটি প্রকল্পের কাজ চলবে, তখন আদিবাসী এলাকায় প্রচুর কর্মসংস্থান হবে।
আদিবাসী-অধ্যুষিত এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন
রেলমন্ত্রী দাবি করেছেন, বাদামপাহাড়-কেন্দুঝারগড়, বাংরিপোসি-গোরুমহিসানি এবং বুরমুরা-চাকুলিয়া প্রকল্পের ফলে পশ্চি💖মবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য একটি করিডর তৈরি হবে। যে করিডর ধরে ভারতের পূর্ব উপকূলের বন্দরগুলি থেকে পণ্য পরিবহণ করা যাবে। সার্বিকভাবে আদিবাসী-অধ্যুষিত এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
আরও পড়ুন: Kavach System: আর টেনশন নয়! সামনের বছরেই মুম্বই-দিল্লি-কলকাতা রুটে কবচ স🎃িস্টেম, জানালেন রেলমন্ত্রী
গঙ্গার উপরে ডবল লাইনের ব্রিজ
রেলমন্ত্রী দাবি করেছেন, বিক্রমশীলা-কাট🃏ারিয়া নয়া লাইন তৈরির সময় গঙ্গার উপরে একটি নয়া ব্রিজও নির্মাণ করা হবে। সেই ডবল লাইনের ব্রিজের জন্য ২,৫৪৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
তাঁর দাবি, ওড়িশার নয়া রেললাইন প্রকল্প এবং বিক্রমশীলা-কাটারিয়া নয়া লাইনের ফলে পুরো নেপাল, বিহার, ꧅পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে একটি করিডর তৈরি হয়ে যাবে। সংযুক্ত হয়ে যাবে পূর্ব উপকূলের বন্দরের সঙ্গে। খনিজ, খাদ্যশস্য, সারের মতো পণ্য প෴রিবহণের পথ প্রশস্ত হবে। সুবিধা হবে যাত্রীদেরও।