শৈলশহরে যেতে গেলে বেশিরভাগ পর্যটকের পছন্দ দার্জিলিং মেল। আর স্বাধী♕নতা দিবস থেকে এই দার্জিলিং মেলের যাত্রাপথ বাড়ছে। এবার শিয়ালদা থেকে কোচবিহারের হলদিবাড়ি পর্যন্ত চলবে দার্জিলিং মেল। দার্জিলিং মেলের শেষতম স্টেশনটি পাল্টে যাচ্ছে বলেই খবর। এই ট্রেনটি ভোরবেলায় পৌঁছয় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে (এনজেপি)। তবে ১৫ অগস্ট থেকে পাল্টে যাচ্ছে এই শেষ স্টেশনটি বলেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? রেল বোর্ডের জারি করা নির্দেশিকা অꦜনুযায়ী, এতদিন নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যেত দার্জিলিং মেল। এবার শিয়ালদা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি, জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন হয়ে হলদিবাড়ি যাবে এই মেল ট্রেনটি। তার জেরে উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের বাড়তি সুবিধা হবে। দার্জিলিং মেলের রুট বাড়ার 🥂খবরে এখন খুশি পর্যটকরা। এই ট্রেন ধরে এখন তরাই–ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যেতে পারেন পর্যটকরা।
দার্জিলিং মেলের সময়সূচি কেমন হবে? রেল বোর্ড সূত্রে খবর, শিয়ালদা স্টেশন থেকে রাত ১০টা বেজে ৫ মিনিটে ছাড়ে এই দার্জিলিং মেল। এটি এনজেপি বা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছয় সকাল ৮টা থেকে ৮.২৫ মিনিটের মধ্যে। তারপর যাবে জলপඣাইগুড়ি স্টেশনে সকাল ৯.২০ থেকে ৯.২২ মিনিটের মধ্যে। সব শেষে পৌঁছবে হলদিবাড়ি সকাল ১০টায়। ফেরার সময় এই ট্রেনটি হলদিবাড়ি রেল স্টেশন থেকে আসবে সন্ধ্যা ৬টায়। জলপাইগুড়ি এসে পৌঁছবে ৬টা থেকে ৬.২২ মিনিটের মধ্যে। তার পর নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে এসে পৌঁছবে সন্ধ্যে ৭.৩৫ থেকে ৮টার♊ মধ্যে। আর শিয়ালদা পৌঁছে যাবে ভোর ৬টায়।
উল্লেখ্য, দার্জিলিং জেলার সদর শহর বলেই পরিচিত। কার্শিয়ং এবং শিলিগুড়ি𝐆 হল এই জেলার অপর প্রধান শহর। এই জেলার গুরুত্বপূর্ণ শহর মিরিক, যা বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র। আছে ডুয়া🐲র্স। দার্জিলিং জেলার মধ্যেই ডুয়ার্সের আবহাওয়া খুব মনোরম। এখন শিলিগুড়ি থেকে পাহাড় পর্যন্ত চালু হয়েছে টয়ট্রেন। এখানের চা–বাগান এবং কমলালেবুর গাছের সারি বিশেষ আকর্ষণের। এরই সঙ্গে রয়েছে তিস্তার অবিরাম বয়ে চলা। যা আলাদা আমেজ এনে দেয়।