উৎসবের মরশুমে অব্যাহত রইল গজরাজের হানা। সপ্তমীর পর অষ্টমীর রাতে লোকালয়ে হাতির হানায় মৃত্যু হল ৬ বছরের এক শিশুর। মৃত শিশুর নাম বন্ধন বিশ্বকর্মা। এছাড়া আহত হয়েছেন শিশুর মা সুপ্রিয়া বিশ্বকর্মা। ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজার মহকুমার চালসার মঙ্গলবাড়ি বাজার এলাকায়। আচমকা জঙ্গল থেকে একটি হাতি রাতের অন্ধকারে লোকালয়ে চলে এসে তাণ্ডব চালায়। তার জেরেꦬ এই ঘটনা।
আরও পড়ুন: রিল বℱানানোর নেশায় হাতির একেবারে কাছাকাছি চলে গিয়েছিল যুবক, তারপর যা ঘট✤ল…
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মঙ্গলবাড়ি বাজার এলাকায় আচমকা হাতি প্রবেশ করে। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে এমনিতেই রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড় ছিল। তার ফলে হাতি চলে আসায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কার্যত শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। স্থানীয়রা যে যার মতো নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় হাতির সামনে চলে আসে বন্ধন এবং সুপ্রܫিয়া।
জানা গিয়েছে, সুপ্রিম দুই মেয়ে এবং এক ছেলেকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময় হাতিটি তাদের সামনে চলে আসে। এক মেয়ে ও ছেলে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পালাতে পারেনি ৬ বছরের মেয়েটি। তখন তার উপর হামলা চালায় হাতি। শুঁড়ে করে তুলে তাকে আছড়ে ফেলে দে🅠য়। মায়ের ওপরেও হামলা চালায় হাতিটি। এরপর আশেপাশ থেকে প্রচুর লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে হাতিটি পুনরায় জঙ্গলে পালিয়ে যায়। তখন তড়িঘড়ি করে শিশু এবং তার মাকে মঙ্গলবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান তারা। সেখানে চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, শিশুর মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন স্থানীয় রেঞ্জের বনকর্মীরা পাশাপাশি স্থানীয় থানার পুলিশ সেখানে যায়। তারা পৌঁছলে তাদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। উল্লেখ্য, এর আগের দিনই হাতির হানায় মৃত্য✱ু হয়েছিল এক ব্যক্তির। আর এবার এক শিশুর মৃত্যু হল। পরপর দুদিনে এমন ঘটনায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা।
তাদের অভিযোগ, এলাকায় ঠিকমতো ইলেকট্রিকের ব্যবস্থা নেই। যার ফলে অন্ধকারে অনেক সময় বন্যপ্রাণী গ্রামে চলে আসলে বোঝার উপায় থাকে না। আর সেই কারণে শুক্রবার রাতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। তাদের অভিযোগ ইলেকট্রিক পোলগুলিতে আলোর ব্যবস্থা নেই ফলে অন্ধকারে হাতি🧜র গতিবিধি বোঝা সম্ভব হয়নি। তাদের দাবি, বনকর্মীদের নিয়মিত টহলদারি ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। তার ভিত্তিতে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।