দীর্ঘদিনের বকেয়া টাকা না পেয়ে বিডিও অফিসে কীটনাশক এবং ঘ𝓡ুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক ব্যবসায়ী। ওই ব্যবসায়ীর নাম গৌতম দাস। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাই👍গুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি বিডিও অফিসে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ওই ব্যবসায়ীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় স🌠ূত্রে জানা গিয়েছে, বিডিও অফিসের পাশে ওই ব্যবসায়ীর একটি খাবারের হোটেল রয়েছে। সেখান থেকেই গত কয়েক বছর ধরে তিনি বিডিও অফিসে খাবার সরবরাহ করছেন। সেই বাবদ বিডিও অফিসের কাছে তাঁর প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানিয়েছেন গৌতম বাবুর ছেলে বর্ণজিত দাস। কিন্তু সেই টাকা মেটানোর জন্য বিডিও অফিসের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে তাঁর অভিযোগ। এ নিয়ে বহুবার বিডিও অফিসে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও বিডিও অফিস কর্তৃপক্ষ সেই টাকা মেটানি বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, এত টাকা বকেয়া থাকার বলে হোটেলের বিদ্যুতের বিল মেটাতে পারছেন না তাঁরা। যার ফলে বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী সংসার চালাতে গিয়ে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। তাই কোনও উপায় না দেখে বুধবার বিডিও অফিসে গিয়ে তিনি কীটনাশক, বেশি মাত্রায় ঘুমের ওষুধ এবং প্রেসারের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তড়িঘড়ি বিডিও অফিসের পক্ষ থেকে ওই ব্য𝕴বসায়ীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে গৌতম বাবুর কাছে𒀰। তাতে তিনি বিডিও অফিস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে লেখা ওই নোটে তিনি জানিয়েছেন, বিডি অফিস থেকে বকেয়া টাকা নাম উঠানোর জন্য তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। যদিও টাকা বকেয়া কথা অস্বীকার করেছেন ময়নাগুড়ির বিডিও শুভ্র নন্দী। তিনি জানান, অনেক আগে এই টাকা বকেয়া বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ী। কিন্তু তাঁর পাওনা টাকার কোনও কাগজপত🍰্র তিনি দেখাতে পারছেন না। বিষয়টি জেলা শাসককে জানানো হয়েছে। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।