রাজ্য সরকারের নির্দেশꦑ অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ সমস্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে কিছু ট্রেন চলার দাবি করলেও তা সত্যি নয়। কেবলমাত্র স্পেশাল ট্রেন, দূরপাল্লার স্পেশা🐎ল ট্রেন, মালবাহী ট্রেনই চলবে, জানাল রেল।
বুধবার এ বিষয়ে টুইট করে ইস্টার্ন রেলওয়ের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল। সেখানে দূরপাল্লার স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীদের সতর্কতার সঙ্গে কোভ🧔ি়ড বিধি মেনে চলতে বলা হয়।
কতদিনের জন্য লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকছে?
বুধবার নবান্ন জানায়, আপাতত ১৪ দিনের জন্য রাজ্যে লোকাল ট্রেনের পরিষেবা 🦄বন্ধ রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ প্রাথমিকভা🦋বে ৬ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলবে না।
একনজরে দেখে নিন কী বিধিনিষেধ জারি করা হল, কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হল -
১) সꦚরকারি অফিসে কর্মীদে𒅌র ৫০ শতাংশ উপস্থিতি করা হচ্ছে।
২) বেসরকারি অফিসের ক্ষেত্রে বাড়ি থেকে🃏 কাজের ক্ষওেত্রে উৎসাহ দেওয়া হবে। অফিস চালু থাকলেও সামাজিক দূরত্বের বিধি মানতে হবে। কোনওভাবেই কোনও শিফটে উপস্থিতি ৫০ শতাংশের বেশি হবে না।
৩) ব্যাঙ্ক পুরো খোলা থাকবে না। গ্রাহকদের সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত ব্যাঙ্ক চলবে। প্রতি শনিবার ব্যাঙ্ক ব💙ন্ধ থাকবে।
৪) যাবতীয় শপিং ক♍মপ্লেক্স, মল, বিউটি পার্লার, সিনেমা হল, স্পা, রেস্তোরাঁ, সুইমিং পুল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স বন্ধ থাকবে।
৫) কলকারখানা, মিল এবং চা বাগানে সর্বাধিক ♔৫০ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকতে পারবেন।
৬) যাবতীয় বিনোদন, রাজনৈতিক সংক্রান্ত জমায়𓄧েত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিয়ে বা সা♕ংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ৫০ জন থাকতে পারবেন। সেজন্য আগে থেকে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। শেষকৃত্যে ২০ জনের বেশি থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না।
৭) সকাল ৭ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত দোকান, বাজার, হাট খোলা রাখা যাবে। বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে পারবেন। তবে সোনার দোকান দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ৩ টে খোলা ܫরাখা যাবে। শুধুমাত্র সোমবার থেকে শুক্রবার খোলা যাবে সোনার দোকান।
ওষুধ দোকান, মুদিখানা দোকান, দুধের দোকান, মিষ্টির দোকান-সহ স্বাস্থ্য, দমকল, বিদ্যুতিক, টেলিকম এবং পুর পরিষেবার সঙ্গে যাবতীয় দ✤োকান সেই বিধিনিষেধের আওতায় পড়বে না। অনলাইন সার্ভিস এবং হোম ডেলিভারিতে ছাড় আছে।
৮) আগামী ৭ মে মধ্যরাত থেকে কলকাতা, বাগডোগরা🍌, অন্ডাল বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট লাগবে। যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টেস্ট করতে হবে। যদি কোনও যাত্রী টেস্ট না করিয়ে আসেন, তাহলে তাঁকে ১৪ দিনের নিভৃতবাসে থাকতে হবে। থাকা-খাওয়ার খরচ সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে দিতে হবে।
৯) ভিন রাজ্য থেকে কলকাতায় আগত বাস এবং দℱূরপাল্লার ট্রেনে আগত যাত্রীদের বাধ্যতামূলক আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট লাগবে। যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টেস্ট করতে হবে।
১০) আপাতত ১৪ দিনের জন্য লোকাল ট্রেনে🐟র পরিষেবা বন্ধ করা হচ্ছে।
১১) সরকারি পরিবহনে ৫০ শতাংশ যাত🏅্রী চলাচল করতে পারবে। মেট্রো চলবে। তবে তাতে ৫০ শতাংশ যাত্রী থাকতে পারবেন।