শিহরিত হয়ে ওঠার মতো কাণ্ড পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে। কাটারি দিয়ে স্ত্রীর মুন্ডু কেটে সেই মুন্ডু নিয়ে প্রকাশ্🐼য রাস্তায় ঘুরে বেড়ালেন স্বামী। সেই মুন্ডু রাস্তার ধারে একটি বেঞ্চে রেখে বসে রইল পুলিশ না আসা অবধি। পটাশপুরের চিস্তিপুর গ্রামের এই ঘটনার হতবাক। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ কাটা মুন্ডুসহ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফাতর করেছে।&nbsꦛp;
পুলিশ জানিয়েছে, পটাশপুরের চিস্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা গৌতম গুছাইত বুধবার কাটারি দিয়ে𒊎 স্ত্রীর গলা কেটে খুুন করে। তার পর সেই কাটা মুন্ডু নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। বেশ খানিকক্ষণ ধরে ওই কাটা মুন্ডু নিয়ে চিৎকার করার পর। রাস্তা ধারে একটি বেঞ্চে গিয়ে বসেন। কাটা মুন্ডুটি স্ত্রীর পাশে রেখে দেন। ওই অবস্থায় গৌতমকে দেখে বাসিন্দারাও শোরগোল শুরু করে দেন। কিন্তু তারা কেউ গৌতমের কাছে যেতে পারছিলেন না।
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, গৌতমের মানসিক ভারসম্যের সমস্যা ছিল। অনেক আগে একবার আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচা ঢুকে পড়ে। তবে চিকিৎসার পর এদান্তি সে সুস্থই ছিল। মাঝে মাঝে পারিবারিক অশান্তি হতো। তবে এমন কাণ্ড যে সে ঘটাবে তা বাসিন্দারাও বুঝౠতে পারছেন না।
পড়ুন। ডাম্পারের🐎 ধাক্কায় ছিটকে গেল স্কুটি, শিশু-সহ একই পরিবারের মৃত ৩
গৌতমের দাদা উত্তম গুচ্ছাইত বলনে, ‘চার বছর আগে বাঘের খাঁচায় ঢুকে পড💧়ার পর চিকিৎসায় সুস্থই ছিল সে। কিন্তু হঠাৎ সে কেন এমন কাণ্ড ঘটাল তা বুঝতে পারছি না।’
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, স্ত্রীকে খুন করার পর তাঁর কাটা মাথা হাতে নিয়ে এগরা-বাজকুলের রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন গৌতম। বেশ কিছু ক্ষণ এদিক ওদিক কাটা মুন্ডু হাতে হাঁটার পর নিজেই দড়ি দিয়ে একটি জায়গা ঘিরে নিয়ে সেখানে একটি বেঞ্চ পেতে বসে পড়েন। পাশে রাখা ছিল ওই কাটা মুন্ডু। হাতে ধরা ছিল কাটারি। ভয়ে কেউ কাছে ঘষতে পারেননি। বাসিন📖্দারাই খবর দেন পটাশপুর থানায়। পুলিশ এসে গৌতমকে গ্রেফতার করে।
তাঁর স্ত্রীর কাটা মুন্ডুকেও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর ঘরের সামনে রক্তাক্ত ধড়টি পড়ে ছিল। সেটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধড়-মুন্ডু ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী কারণ স্ত্রীকে খুন করল পুলিশ তার তদন্ত শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৌতমের বাবা-মাকেও আটক করেছে পুলিশ। একটি পাঁ♓চ বছরের বাচ্চা রয়েছে তাদের।