তালিকায় নাম আছে। কিন্তু জোটেনি আবাস যোজনার ঘর। কষ্টে মাটির ঘরেই কাটছে অসহায় মৌসুমী দেবীর জীবন। এই আবহে চারদিনের সফরের আজ, সোমবার ছিল শেষ দিনের পরিদর্শন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের। অন্যান্য জেলায় ঘোরার পর এবার জলপাইগ🅷ুড়ি সদর ব্লকের অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতে গেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। দুই সদস্যের কেন্দ্রীয় দল আজ ঘুরে দেখলেন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চাযඣ়েতের আবাস যোজনার উপভোক্তাদের বাড়ি। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সদর বিডিও এবং অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।
এদিকে তালিকায় নাম থাকার পরেও আজ পর্যন্ত বাড়ি পায়নি সাধারণ গরিব মানুষ বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় দলকে কাছে পেয়ে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানালেন বাসিন্দারা। তাঁরা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যদের প্রশ্ন করেন, ‘কেন আবাস যোজনার ঘর জোটেনি?’ জবাব সেভাবে মেলেনি। ত🐻ারপর এখানে যে সমস্ত মানুষ ঘর পেয়েছেন তাঁদের বাড়িও পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। চারদিনের সফরের আজ শেষ দিন। অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি খরিয়া গ্রামপঞ্চায়েত, মণ্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতেও যান সদস্যরা।
অন্যদিকে অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের সরকার পাড়ার বাসিন্দা মৌসুমি মালাকার এক মাত্র মেয়েকে নিয়ে একটি মাটির ঘরে বসবাস কর🧸েন। তাঁর একটা ঘর খুব প্রয়োজন। ঘর প্রাপকদের তালিকায় তাঁর নাম থাকলেও তিনি আজ পর্যন্ত ঘর পায়নি। নয়াদিল্লির আধিকারিকরা গ্রামে আসায় এবার হয়তো তিনি ঘর পাবেন বলে আশা করছেন🔜 মৌসুমি দেবী। আন্তি গীর বলে এক বাসিন্দা প্রশ্ন করেন, ‘এলাকার সবাই আবাস যোজনার ঘর পেলেও আমি এখন কেন পেলাম না? অবিলম্বে আমাকে একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিলে তিনি উপকৃত হবো।’ অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাজেশ মণ্ডল বলেন,, ‘এখনও অনেক মানুষ ঘর পায়নি। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করছি অবিলম্বে ঘরের টাকা দেওয়ার জন্য।’
আরও পড়ুন: মামলার খরচের ভার বিশ্বব♔িদ্যালয়কে নিতে হবꦯে, রাজ্যপালের ফরমানে তুমুল বিতর্ক
তবে বাঁকুড়ায় আবাস প্রকল্পের হাল হকিকৎ খতিয়ে দেখতে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। আজ, সোমবার বাঁকুড়া এক নম্বর ব্ল🌟কের একাধিক গ্রামে কেন্দ্রীয় আবাস প্রকল্পে নির্মিত বাড়ি দেখতে যান ন্যাশানাল মনিটরিং সেলের দুই সদস্যের একটি দল। বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের জুনবেদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বদড়া এবং বনকাটি এলাকায় আবাস প্রকল্পে নির্মিত বাড়ি দেখার পর ফেরার পথে অফিসার দলটি বিক্ষোভের মুখে পড়েন নবজীবনপুর গ্রামে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, একাধিক ব্লকের গ্রামে ঘুরে ঘুরে তাঁরা খতিয়ে দেখেন আবাস প্রকল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ। আজ সকালে বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের বিডিও–সহ প্রশাসনিক আধিকারিক এবং স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে বদড়া গ্রামে যায় দলটি। পরে বনকাটি গ্রামে ঘ🐷ুরে দলটি যখন বাঁকুড়ার দিকে ফিরছিল তখন ওই আধিকারিক দলের পথ আটকে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মানুষ। প্রায় ২০ মিনিট ধরে আধিকারিক দলটিকে রাস্তায় আটকে রেখে বিক্ষোভ চলে। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।