একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। ১০০ দিনের প্রকল্প, আবাস যোজনা থেকে মিড–ডে মিল সব ক্ষে🐷ত্রেই এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। তদন্ত করে রিপোর্টও দিয়েছে। কিন্তু এখান থেকে তেমন কোনও দুর্নীতি পাননি তাঁরা। যদিও ১০০ দিনের কাজের টাকা এবং আবাস যোজনার টাকা এখন দেয়নি মোদী সরকার। এবার পিএম কিষান প্রকল্পের তদন্তে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল। তারা বিভিন্ন জেলায় ঘুরে অডিট করবে। তারপর রিপোর্টে পেশ করবেন নয়াদিল্লিতে।
এদিকে কৃষি দফতর সূত্রে খবর, পূর্ব বর্ধমানে এখন তিন সদস্যের দল এসেছে। তাঁরা মন্তেশ্বর এবং কাটোয়া–২ ব্লকে অডিট করার কাজ শুরু করেছে। দুই ব্লকের অফিসার এবং অন্যান্যদের বেশ কিছু নথি তৈরি রাখতে বলেছে। পিএম কিষান প্রকল্পেও কো🐻নও দুর্নীতি হয়নি। যাঁরা এই টাকা পাওয়ার উপযুক্ত তাঁদের অ্যাকাউন্টেই টাকা পৌঁছে যায়। আর কৃষকবন্ধু প্রকল্পের (রাজ্য সরকারের) টাকা সবার অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়। কিন্তু পিএম কিষানের ক্ষেত্রে নানা শর্ত আরোপ করা রয়েছে। আয় দেখে এই প্রকল্পে টাকা দেওয়া হয়। তারপরও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল এখানে এসেছে।
অন্যদিকে নামপﷺ্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষি দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘পিএম কিষান নিয়ে কোনও ওরা পাবে না। কারণ অনিয়ম হলে তো পাবে। এটা আসলে প্রকল্পে টাকা বন্ধ করার কৌশল।’ এভাবেই অন্যান্য প্রকল্পের টাকা বন্ধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের শস্যবিমা এবং কৃষকবন্ধু জেলার প্রান্তিক চাষীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিস্তর সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন তাঁরা। সেখানে পিএম কিষান প্রকল্প বা প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মাননিধি তেমন চাষীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। কারণ রাজ্যের প্রকল্পে টাকা পাওয়া অনেক সহজ। সেখানে পিএম কিষান প্রকল্পে সারা দেশে প্রায় ১২ কোটি উপভোক্তা রয়েছে। তিনবারে মোট ছ’হাজার টাকা দেওয়া হয়। সেখানেও নানা নিয়মকানুন।
আরও পড়ুন: ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রচারক কারা? রইল বিস্ত💖ারিত তালিকা
ঠিক কে, কী বলছেন? এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘রাজ্য সরকার পিএম কিষান প্রকল্প চালু করতেই চায়নি। কৃষকদের বঞ্চিত করতে চেয়েছিল। ঠিক সময়ে এই প্রকল্প চালু হলে বাংলার কৃষকরা উপকৃত হতেন। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা দেবু টুডু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে আর্থিকভাবে বঞ্চিত করেছে। তাই ওরা বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে ๊দিচ্ছে। কাজ করার পরও শ্রমিকরা ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা পায়নি। এবার পিএম কিষানের অনিয়ম ধরার জন্য রাজ্যে টিম পাঠিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক বিরোধী। মানুষ ক্ষমা করবে না।’