⛎ সেনাকর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপ প্রধানের ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানা সোহাই-শ্বেতপুর পঞ্চায়েতে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল উপ প্রধানের ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল উপপ্রধান এবং তার ছেলে।
আরও পড়ুন: ꦬমাদক খাইয়ে পরিচারিকাকে ধর্ষণ করতেন আরমান? সবই জানতেন পায়েল! ভাইরাল FIR কপি
💦জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামী পঞ্জাবে কর্মরত। তিনি একটি সমস্যা নিয়ে সমাধানের জন্য পঞ্চায়েত উপ প্রধান জলধর মণ্ডলের কাছে গিয়েছিলেন। মাসখানেক আগে তিনি উপ প্রধানকে সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। উপ প্রধান সেই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। আর সেই সুযোগ নিয়ে পঞ্চায়েত উপ প্রধানের ছেলে সেনাকর্মীর স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় এবং তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরেই মহিলা বারাসত জেলার পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নড়েচড়ে বসে। ঘটনায় স্থানীয় থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার । তার ভিত্তিতে মহিলার জবান বন্দি নেওয়ার পাশাপাশি তার মেডিক্যাল টেস্ট হয়েছে। শনিবার অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে উজ্জ্বল মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে।
𓆏এদিকে, শাসক দলের ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীরা এ নিয়ে শাসক শিবিরকে আক্রমণ করেছে। তাদের বক্তব্য, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। তার ফল ভোগ করতে হবে।
൩অন্যদিকে, এই অভিযোগের পরেই সেনা কর্মী পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। তার পর থেকেই ভয়ে ঘরছাড়া রয়েছে সেনাকর্মীর পরিবার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো সরগরম হয়ে ওঠে এলাকা। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল উপ প্রধান এবং তার ছেলে। উপপ্রধানের দাবি, তার ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। সেনা জওয়ানের পরিবারকে কেউ ভয় দেখায়নি। তারা নিজের ইচ্ছায় ঘরছাড়া রয়েছে। এলাকা থেকে সব খোঁজ নিলে পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই ঘটনায় আরও তদন্ত করছে পুলিশ। দুপক্ষের বক্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।