মালদার হাবিবপুরে কাজ শেখানোর নামে এক আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল হাতুড়ে ডাক্তারের বিরুদ্ধে। আরজি কর আবহের মধ্যেই সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আদিবাসীরা। সেই ঘটনায় মাত্র ৯ দিনের মধ্যে বিশেষ পকসো আদালতে চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। এই ঘটনার পরেই রাজ্যের বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আশ্বস্ত করেছিলেন, প𝓰ুলিশ দ্রুত তদন্ত করে ১০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেবে। সেই মতোই চার্জশিট জমা দিল পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাংলায় আরও ৫ টি পকসো বিশেষ আদালত, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত সরকারে🐎র
মালদার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সম্ভব জৈন বুধবার জানিয়েছেন, ৬ সেপ্টেম্☂বর আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই ঘটনা গত ২৮ অগস্টের। পাশাপাশি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে। ৭ জনকে চার্জশিটে সাক্ষী করা হয়🌸েছে।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ ছিল, মেডিক্যাল টেস্টের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে হাতুড়ে ডা♕ক্তার। নির্যাতিতার বাবা জানান, ওই ডাক্তার বাড়িতে ফোন করে তার মেয়েকে ডেকেছিল। বলেছিল তাকে কাজ শেখাবে। তাই কাজ শেখার উদ্দেশ্যে তার মেয়ে ডাক্তারের বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু, বাড়িতে যাওয়ার পর সে দেখে কোনও রোগী বা অন্য কেউ ডাক্তারের বাড়িতে ছিল না, সে একাই ছিল। এরপর ডাক্তার ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপরেই নাবালিকা মেয়েটিকে একে এ🍬কে পোশাক খুলতে বলে এবং ধর্ষণ করে। তখন মেয়েটি চিৎকার চেঁচামেচি করে। কিন্তু, আশেপাশে কেউ না থাকায় মেয়েটির চিৎকারে কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি।