গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ সেপ্টেম্বর ভোর পর্যন্ত কলকাতা সহ বাংলার বহু জায়গায় 'রাত দখল'-এর কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে। এই আন্দোলন ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় আবার সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেক জায়গায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কেস করেছে। এই সবের মাঝেই আবার সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, একজন পুলিশ আধিকরিক মোমবাতি ধরে প্রতিবাদীদের সঙ্গে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান তোলেন। দাবি করা হচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারে। (আরও পড়ুন: RG কর কাণ্ডে প্রশ্নবিদ্ধ পুল﷽িশ, 'ভাইরাল ভিডিয়ো'༺ নিয়ে বিস্ফোরক নির্যাতিতার আন্টি)
আরও পড়ুন: 'DC সেন্♔ট্রালকে গ্রেফতার করা হোক', ইন্দিরার নামে মারাত্মক অভিযোগে চিঠি CBI-তে
আরও পড়ুন: নাকে অক্সিজেনের নল, কঠꦑিন ��রোগের তোয়াক্কা না করে RG করের বিচার চাইতে রাস্তায় বৃদ্ধ
ফেসবুকে ভাইরাল এই ভিডিয়োর কমেন্টে কেয়া রায় বলে এক নেটিজেন দাবি করেন, ৪ সেপ্টেম্বর রাতে আলিপুরদুয়ারে পুলিশ প্রতিবাদীদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান তোলেন। কেয়া রায় দাবি করেন, তাঁদের জমায়েতের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিকদের সহমর্মিতা প্রকাশ করা জন্যে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেই মতো পুলিশ আধিকারিক এগিয়ে এসে এক প্রতিবাদের হাতের মোমবꦡাতি ধরে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান তোলেন কয়েকবার। পরে সেই প্রতিবাদী মহিলা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সেই পুলিশ আধিকারিককে।
এদিকে গত ৪ তারিখ কোচবিহার থেকে বারাসত, গড়িয়া, বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার রাতে গড়িয়া মোড়ে জমায়েত চলাকালীন এক মদ্যপ ব্যক্তি মহিলাদের কুকথা বলেন বলে অভিযোগ ওঠে। উত্তেজিত জনতা তাঁকে গ্রেফতার করার দাবিতে সরব হয়। অভিযুক্ত যুবককে পাটুলি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে আগত প্রতিবাদীরা তখনও শান্ত হননি। সেই সময় নাকি নেতাজি নগর থানার ওসি সহ তাঁর টিমের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। অভিযোগ, ওসির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, এমনকী পুলিশকে হুমকি ও গালাগালি দেওয়া হয়। এই আবহে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুসারে খুনের হুমকি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগও দায়ের করা হয়ে🎶ছে। অপরদিকে বারাসতে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘাত বেঁধেছিল। সেই ঘটনায় ৫ মহিলা সহ ১৮ জনে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মতো জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। তবে গতকাল আদালত থেকে সেই ১৮ ধৃতকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওদিকে কোচবিহারের মাথাঙায় প্রতিবাদীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ।