রাতভর নিখোঁজ থাকার পর নদীতে ভেসে উঠল স্কুল ছাত্রে♑র মৃতদেহ। আজ সকালে দামোদর নদ থেকে ওই স্কুল পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের শম্ভুপুর এলাকায়। মৃত স্কুল পড়ুয়ার নাম আরীর হোসেন। বর্ধমান শহর൲ের বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ার বাসিন্দা। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার।
মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাকে। মৃতের মা জানান, গতকাল সকালে টিউশন থেকে ফিরে এসেই আবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় আবীর। তার চার বন্ধু তাকে ডেকেছিল। সে তাদের সঙ্গেই বেরিয়েছিল। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার পর বন্ধুর💦া বাড়ি ফিরলেও আবীর বাড়ি ফেরেনি। বন্ধুরাই তাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ মৃত ছাত্রের মায়ের।
আবীরের দাদা আফিদ হোসেন জানান, বিকেলের পর থেকেই আবীরের মোবাইল সুইচ অফ ছিল । ত🌟ার অভিযোগ, শেখ জোহান সহ আরও তিন বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিল আরীর। তারাই তাকে খুন করে দামোদর নদে ভাসিয়🐼ে দিয়েছে। তার কথায়, ‘গতকাল রাতে জোহান এবং তার মা আমাদের বাড়ি এসেছিল। কিন্তু, তারা তখন আবীরের কোনও খোঁজ দিতে পারেনি। পরে তার মা ফোন করে জানাই স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে গিয়েছে আবীর।’ তার দাদার অভিযোগ, যেখানে স্নান করতে গিয়েছিল সেখানে জলে ডোবার মতো পরিস্থিতি নেই। তাছাড়া আবীর সাঁতার জানতো। ফলে তাকে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি করেন আফিদ।
মৃ♈ত স্কুল পড়ুয়ার মুখে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তবে সেই আঘাতের চিহ্ন কিসের তা স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। শুক্রবার শম্ভুপুর ঘাটে ভেসে ওঠে ওই পড়ুয়ার দেহ। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে চিহ্নিত করেন ওই কিশোর সেখ আবীর হোসেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। শক্তিগর থানার পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ।