কচুরিপানা ভর্তি খাল। আর তার উপর ভাসছে কোনও কিছুতে ভর্তি বেশ কয়েকটি বস্তা। কৌতূহলবশত কয়েকজন গ্রামবাসী খালে নামতেই দেখেন চাল ভর্তি রয়েছে বস্তাগুলিতে। আর সেই বস্তায় লাগানো রয়েছে সরকারের স্টিকার। আসলে সেগুলি হল রেশনের চাল। এমনটাই দাবি, গ্রাম🍨বাসীদের। প্রায় ১𝓰০০টি মতো চালের বস্তা উদ্ধার হয়েছে ওই খাল থেকে। এভাবে এত সংখ্যক রেশনের চাল ভর্তি বস্তা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কেউ বা কারা এগুলি খালে ফেলে দিয়েছে। এমন ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে।
আরও পড়ুন: সার্ভারে সমস্যা, রেশন বণ্টন করতে পারছেন ꧒না ডিলাররা, সমাধানের আর্জি জানꦯিয়ে চিঠি
জানা গিয়েছে, পটাশপুর ১ নং ব্লকের বজলালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও পটাশপুর ২ নং ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝামাঝি জায়গায় এই খাল রয়েছে। সেখান থেকেই চাল ভর্তি এই বস্তাগুলি উদ্ধার হয়। যেখান থেকে বস্তা উদ্ধার হয়েছে তার উপরেই একটি ব্রিজ রয়েছে। যদিও কোনও দুর্ঘটনার কারণে যে বস্তাগুলি খালে পড়েনি সে বিষয়ে একপ্রকা꧃রের নিশ্চিত গ্রামবাসীরা। তাদের বক্তব্য, ব্রিজের উপরে অথবা নিচে দুর্ঘটনার কোনও চিহ্নমাত্র নেই। কোন ট্রাক বা গাড়ি উল্টে গেলে বা দুর্ঘটনার কবলে🐻 পড়লে নিশ্চয়ই সেখানে পড়ে থাকত বা কোনও প্রমাণ থাকত। কিন্তু, তার কোনও চিহ্নই নেই শুধুমাত্র পড়ে রয়েছে চালের বস্তা।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় খালের ওপর কচুরিপানায় বস্তুৃা আটকে আছে দেখতে পান। কৌতূহলবশত সেই বস্তা তুলতেই দেখেন সরকারি স্ট্যাম্প লাগানো চাল ভর্তি বস্তা। খবর পেয়ে পটাশপুর থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছয়। পুলিশ এসে প্রায় ১০০ বস্তা চ▨াল উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
চন্দ্রকান্ত জানা নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘কালকেও আমরা এখানে এসেছিলাম। কিন্তু, খালে কিছুই চোখে পড়েনি। আজ সকালে এগুলি চোখে পড়ে।’ হয়তো রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা এই চা🌱লের বস্তাগুলি ফেলে দিয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, ব্রিজের দুপাশে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ বস্তা চাল ফেলে দেওয়া হয়েছে খালের জলে। বস্তায় সরকারি স্টিকার লাগানো রয়েছে মানে হচ্ছে সেগুলি রেশনের চাল।
শ্রীরাম পুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পুরবী মাইতি বলেন, ‘এগুলি আমাদের এলাকার নয় মনে হচ্ছে। এই চালগুলি পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকের কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতের হতে পারে। এ♑ বিষয়ে আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’ কিন্তু, কেন চাল এভাবে ফেলে দেওয়া হল? বা কীভাবে সেখানে এল? তাই নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।