বিজেপি মহিলা মোর্চার স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধল শেওড়াফুলিতে। শেওড়াফুলি পাইকারি বাজার চালুর দাবিতে বুধবার স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার পথে মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল-সহ সংগঠনের কর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। এর পরই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। করোনা সংক্রমণ রোধে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখতে বৈদ্যবাটি নিয়ন্ত্রিত বাজার প্রাঙ্গনে শেওড়াফুলি পাইকারি বাজারটি স্থানান্তরিত করেছে প্রশাসন। আনলক পর্ব শুরুর পর থেকে সেই বাজার শেওড়াফুলিতে ফেরত আনার দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি পাইকারি বাজার সরে যাওয়া তাদের বেচাকেনা কমে গিয়েছে। পাইকারি বাজার পুরনো জায়গায় ফেরত আনার দাবিতে বুধবার শেওড়াফুলি ফাড়িতে স্মারকলিপি জমা দিতে যায় বিজেপি মহিলা মোর্চা। জিটি রোড ধরে কিছুটা এগোতেই তাদের বাধা দেয় পুলিশ। মহিলা মোর্চার কর্মীদের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় পুলিশের। এর পর সংবাদমাধ্যমকে অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘তাঁবেদার পুলিশ অন্য দলকে মিছিল জমায়েতের অনুমতি দিচ্ছে। আর তিরিশ জনকে নিয়ে স্মারকলিপি জমা দিতে যেতে দিল না। সব জায়গায় এটা করছে পুলিশ। ইমাম ভাতা চালু আছে রাজ্যে। এত বছর মনে হয়নি। ভোটের ছয় মাস আগে মনে হল পুরোহিতদের ভাতা দিতে হবে। পুরোহিতরা ভিক্ষা নেন না। প্রণামী নেন। পিকের বুদ্ধিতে এসব করছেন মাননীয়া। এতে কোনও লাভ হবে না। কারণ নয় বছরে কোনও কিছু হয়নি রাজ্যে। আগামী দিনেও হবে না।’ বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলায় জেলায় আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে পুলিশ। স্থানীয় নানা ইস্যুতেও পথে নামছেন বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। আর প্রায় সর্বত্রই পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।