সামনেই উৎসবের মরশুম। তাই খোলাবাজারে কেজি প্রতি আলুর দাম ৩০ টাকার নীচে নামাতে তৎপর রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতর। গত একমাসে সবজির যে পরিমাণ দাম ছিল সেটার থেকে এখন অনেকটাই কমেছে। আলুর দামও কমেছে। তবে আরও একটু কমলে ভাল হতো বলে মনে করছেন আমজনতা। এই আবহের মধ্যেই কর্মবিরতির ডাক দিল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে, রাজ্যের বাজারগুলিতে দেখা দিতে পারে আলুর সংকট। ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর ক্ষেত্রে অযথা জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির। এই অভিযোগকে সামনে 🐻রেখেই আবারও কর্মবিরতির ডাক দিল তারা।
এদিকে কৃষি বিপণন দফতরের এখন লক্ষ্য, উৎসব মরশুমের আগেই সবজির দামকে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা। রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না দাবি করেন, অনাবৃষ্টির কারণে উৎপাদন কম হয়েছে। তাই সবজির দাম বেড়ে গিয়েছিল। এখন সেই দাম ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে তাঁদের সাধ্যের মধ্যে সবজি কিনতে পারেন, সেটাই নজর রাখা হচ্ছে। তার মধ্যেই আলু ব্যবসায়ীরা কর্মবিরতির ডাক দিয়ে বসল। আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য নেতৃত্ব জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকেই এই কর্মবিরতি শুরু 𒀰হবে। ফলে আলুর সংকট তৈরি হবে বাজারগুলিতে।
আরও পড়ুন: আবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লি💙ক, জেল থেকে ভর্তি বেসরকারি হাসপাতালে
অন্যদিকে আলু রফতানি নিয়ে পুলিশের বাধার অভিযোগ তুলে ২০ জুলাই রাজ্যজুড়ে কর্ౠমবিরতির ডাক দিয়েছিল প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। এমনকী পাঁচদিন টানা সেই কর্মবিরতি চলেছিল। যার জেরে রাজ্যের বাজারগুলিতে তখন আলুর সংকট তৈরি হয়। দামবৃদ্ধি পায় মারাত্মক হারে। যদিও তখন পঞ্চায়েতꦺ মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তারপর সেই কর্মবিরতি উঠে যায়। আলুর দামও কিছুটা কমে। স্বস্তি পায় আমজনতা। রাজ্যে সুফল বাংলার ৪৯৩টি স্থায়ী এবং ১২৫টি অস্থায়ী কাউন্টার আছে। সেখানে ২৮ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু বিক্রি করছে রাজ্য। মানিকতলা থেকে গড়িয়াহাট খোলাবাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে।
কৃষি বিপণন দফতরের দাবি, রাজ্যে যখন ৩০ টাকার আশপাশে আলুর দাম বেঁধে রাখা গিয়েছে, তখন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আলুর দামের পরিসংখ্যান বলছে, উত্তরপ্রদেশে ৩৪ টাকা, অসমে ৩৮ টাকা, মধ্যপ্রদেশে ৩৪ টাকা, মহারাষ্ট্রে ৪০ টাকা দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। এই আবহে আলু ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, শুধু ভিন রাজ্যেই নয়, অন্যান্য জেলায়ও আলু পাঠানোর♓ ক্ষেত্রে পুলিশ–প্রশাসনের দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন আলু ব্যবসায়ী🧜রা। তাই এই কর্মবিরতির ডাক।