অবশেষে প্রশাসনিক আশ্বাস শিলিগুড়িতে বাস ধর্মঘট প্রত্যা✱𝓡হার করলেন বেসরকারি মালিকরা। পুলিশি জুলুমবাজির প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ করেছিলেন মালিকরা। ফলে দিনভর ভোগান্তির শিকার হতে হয় নিত্য যাত্রী সহ সাধারণ যাত্রীদের। শিলিগুড়ির কোর্ট মোড় থেকে প্রতিদিন একাধিক বেসরকারি বাস চলাচল করে। তবে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করার ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ কাটে। শনিবার থেকে পুনরায় শিলিগুড়িতে বেসরকারি বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বেসরক꧙ারি বাস মালিকদের সংগঠন শিলিগুড়ি মিনিবাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক কুমারেশ দত্ত 🃏বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। পুলিশ আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আমরা আলোচনায় খুশি। তাই আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’ আচমকা বাস ধর্মঘটের ফলে শুক্রবার সকাল থেকে একটিও বেসরকারি বাস বের হতে দেখা যায়নি শিলিগুড়িতে। চরম সমস্যায় পড়তে হไয় যাত্রীদের। বাধ্য হয়ে অটো করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন অনেকে। পরে শিলিগুড়ির পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাস মালিকরা। প্রশাসনিক আশ্বাসে দিনের শেষে বাস ধর্মঘট উঠে যায়। তবে এদিন অধিকাংশ বাসই পরে আর বের করা হয় নি। বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকে প্রচুর বাস। গুটিকয়েক বাসই এদিন চলাচল করে। পরে শনিবার থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়। বাস মালিকদের সংগঠনের তরফে জানানো হয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে তারা খুশি হয়ে বাস ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন।
বাস সংগঠনের অভিযোগ, শিলিগুড়ির রাস্তায় যানজট বাড়ার ফলে জোরꦓে বাস চালানো সম্ভব হচ্ছে না। নির্দিষ্ট সময়ে বা💜স গন্তব্য স্থলে না পৌঁছালে সিন্ডিকেটকে জরিমানা দিতে হচ্ছে। আবার জোরে বাস চালালেও পুলিশকে জরিমানা দিতে হচ্ছে। বাস পিছু ২০০০ থেকে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত কেস দিচ্ছে পুলিশ। অথচ বাসের ভাড়া সেভাবে না বাড়ার ফলে দিনে এত টাকা রোজগার হচ্ছে না। এই সমস্ত কারণে ধর্মঘটে নামেন বাস মালিক-কর্মীরা।