প্রতিভা কখনও ছাই দিয়ে চাপা দেওয়া যায় না। এমনকী অর্থনৈতিক প্রতিকূলতাও বাধা হতে পারে না। এমনই নজির দেখা গেল, পূর্ব বর্ধমানের প্রিয়াঙ্কা মহন্তের মেধায়। নিজের চেষ্টায় এক ঘ♕ন্টায় পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম ১০৪টি ছবি এঁকে ফেলেছেন তিনি। আবার ক্ষুদ্রতম আঁকার স্ট্যান্ড তৈরিও করেছেন তিনি। তাই স্বীকৃতি মিলল ন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডসের খাতায়। তিনি পেয়েছেন বেস্ট আর্টিস্ট হিসেবে ম্যাজিক বুক অফ রেকর্ডস থেকে পুরষ্কার। তবে আরও বেশ কয়েকটি পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি।
কতটা কঠিন পরিস্থিতি ছিল তাঁর? জানা গিয়েছে, প্রিয়াঙ্কার বাবা অসুস্থ দীর্ঘদিন ধরে। আর মা পরিচারিকার কাজ করেন। এভাবেই চলে অভাবের সংসার। তার মধ্যেই নিজের পড়াশোনা ও আঁকা চালিয়ে গিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। শত কষ্টেও হার মানেননি। বর্ধমান বিবেকানন্দ কলেজের সংস্কৃত অনার্সের ছাত্রী প্রিয🎶়াঙ্কা। একইসঙ্গে চালিয়ে গিয়েছেন আঁকাও। আঁকাকেই পেশা করতে চান প্রিয়াঙ্কা। আর্থিক কষ্টের জন্যই সাহায্য চায় প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর পরিবার।
কিভাবে সাফল্য পেলেন তিনি? তাঁর কথায়, ‘আমার মা–বাবাই আমার এই সাফল্যের পিছনে রয়েছেন। তাঁরা বারবার আমাকে সাহস জুগিয়েছেন। অভাবের 🌼মধ্যেও মা–বাবা কখনও পড়াশোনা ছাড়তে বলেননি। বরং সাহস জুগিয়ে বলেছেন, চেষ্টা কর ঠিক হবে। এমনকী আমার আঁকাতেও উৎসাহিত করেছেন বারবার। তবে আমি শিক্ষ🅰ক–শিক্ষিকাদের সাহায্যও পেয়েছি।’
এই সাফল্য মেয়ে পাওয়ায় পরিবার খুশি। কিন্তু চিন্তিতও বটে। প্রিয়াঙ্কার ভবিষ্যৎ নিয়েই চিন্তা পরিবারের। মেয়ে কিভাবে এগোবে? দুশ্চিন্তায় মা সুতনুকা মহন্ত। মেয়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি সকলের কাছে সাহায্য চাইছেন। 🐠এই সাফল্য ধরে রাখতে তাই জো💫র দিচ্ছেন পড়াশোনা এবং আঁকাতে। আগামী দিনে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় প্রিয়াঙ্কা। তাই মায়ের অনুরোধ, ‘আমার মেয়েকে একটু সাহায্য করুন।’