পূর্ব মেদিনীপুরের ঘাটালের সাংসদ অভিনেতা দীপক অধিকারী তথা দেব বেশ কিছু প্রশাসনিক কমিটিতে ছিলেন। তবে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কমিটি থেকে তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। এই অবস্থায় অভিনেতার এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে। কেন হঠাৎ করে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কমি🔴টি থেকে তিনি সরে দাঁড়ালেন? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন এই নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন দাবি করা হচ্ছে। অনেকের দাবি, সে ক্ষেত্রে দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি ফোন পাওয়ার পরেই নাকি তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: টলিউডের সুপারস্টার, তবুও বিলাসবহুল গ﷽াড়ি ছেড়ে আজও🅷 ট্যাক্সি-অটো চড়েন দেব!
ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান এবং বীর সিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন দেব। এই তিনটে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকেই তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ইস্তফাপত্র ই মেলের মাধ্যমে জেলাশাসককে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এদিকে, এই পদগুলি থেকে সরে দাঁড়ানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেবের বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ করে দিয়েছে বিজেপি। সে ক্ষেত্রে তারা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছ༺ে।
সূত্রের খবর, দেবের কাছে একটি ফোন আসার পরেই তিনি পদ ছেড়েছেন♔। সম্ভবত দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও বিষয় নিয়ে এই ফোন করা হয়েছিল। তবে লোকসভা ভোটের আগে দেবের এমনভাবে পদ থেকে সরে দাঁড়ানো তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে ক🅠রছে রাজনৈতিক মহল। তাহলে কি লোকসভা ভোটে প্রার্থী হবে না দেব? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, দেবের অনুগামীদের বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত এবং আর্থিক দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে সেই সংক্রান্ত বিষয়ে নাকি দেবের কাছে ফোন এসেছিল🤪। যদিও এই সংক্রান্ত অভিযোগ জেলা শাসকের কাছে এখনও জমা পড়েনি। তবে স্থানীয় সূত্রের খবর, দেবের নাম করে আর্থিক প্রতারণার বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া তাঁর নাম ব্যবহার করে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগও সামনে এসেছে। এছাড়াও সমবায়ে নিয়ম বহ🎐ির্ভূত হবে কয়েক কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সাংসদের অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
তারপরেই দেবের এমন পদক্ষেপ। যদিও এই সুযোগকে হাতিয়ার করে রাজনীতির ময়দানে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। এ বিষয়ে বিজেপির ঘাটালের সাংগঠনিক নেতৃত্বের বক্তব্য, দুর্নীতির কারণে দেবকে এর আগে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তবে ঘাটালের তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এসব মিথ্যা অভিযোগ। বিজেপি অ𓃲পপ্রচার করছে। অ🐎ভিযোগ যে কারোর বিরুদ্ধে উঠতে পারে তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসন রয়েছে।