লোকসভা নির্বাচনের মরশুমেই কেন্দ্রীয় সংস্থা এসে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়🃏ে ‘অডিট’ শুরু করল। আর তখনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি এখানে দুর্নীতি হয়েছে? সারা বছর পড়ে থাকলেও আসেনি কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন তারা বাংলায় এসেছে। তাও আবার উত্তরবঙ্গ জেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে। কেন এমন সময় এল সিএজি? উঠছে প্রশ্ন। কলকাতা থেকে ‘সিএজি’র চার সদস্য রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রেখেই প্রাপ্ত সরকারি বরাদ্দ থেকে শুরু করে আয়–ব্যয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া, প্রশাসনিক ও পঠনপাঠন বিষয়ে খতিয়ে দেখছেন। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
তবে সিএজি এতদিন পর রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কারণ জানিয়েছেন এখানকার উপাচার্য দীপককুমার রায়। আর তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে, এখানে কোনও দুর্নীতি হয়নি। উপাচার্যের দাবি, ‘সিএজি’ সময় দিতে না পারেনি আগে। তাই এতদিন বাদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিট করতে এসেছে। এখানে অডিটের কাজ পড়েছিল। তা হয়নি। এই বিষয়ে উপাচার্য দীপককুমার রায় বলেন, 🅷‘অডিট রিপোর্টে বিশ্ববিদ্যালয়ে অসঙ্গতি বা দুর্নীতি ধরা পড়লে, স্বশাসিত সংস্থা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এই অডিটের রিপোর্ট রাজ্য শিক্ষা দফতরেও জমা পড়বে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় বাজ পড়ে মৃত্যু একই গ্রামের তিনজনের, প্রতিবꦡেশিকে হারিয়ে শোকার্ত ভুইঁঘোরা
শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ২০১৫ সালে রায়গঞ্জ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। ২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী ও তাঁর গবেষণার ‘গাইড’ অনিল ভুঁইমালির বিরুদ্꧅ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন শিক্ষক ও অফিসার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব𒊎 হন বিরোধীরা। অনিলবাবু এখন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির শিক্ষকের পদে রয়েছেন। অনিল ভুঁইমালি বলেন, ‘রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিট যে শুরু হয়েছে সেটা জানি। কারণ আমাকেও মাঝেমধ্যে ফোন করা হয়।’ এবার দেখার বিষয় হচ্ছে অনিলবাবু উপাচার্য থাকাকালীন কতটা সচ্ছতার সঙ্গে নিয়ম মেনে কাজ করেছেন।