কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়𝔉ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুনের ঘটনায় গত সোমবার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে সিআইডি। তাতে নাম ছিল নদিয়া জেলার রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের। ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় এদিন রানাঘাট মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন তিনি। সঙ্গে ছিল বিজেপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দল। আগে থেকে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা থাকায় এদিন জামিন পেতে কোনও সমস্যা হয়নি তাঁর। ৫০ হাজার টাকা বন্ডের ভিত্তিতে বিচারক এদিন তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে চার্জশিটে নাম আছে জেনে দিল্লি থেকে সাংসদ বলেছিলেন, ‘এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংস♐া ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, এই মুহূর্তে নদিয়ায় তৃণম♑ূলের অবস্থান ভয়াবহ। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’ সোমবারও তিনি আদালতে দাঁড়িয়ে দাবি করেন যে তাঁকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এদিন তাঁর জামিনের খবর পেয়ে আদালত চত্বরেই উৎসবের আবহ তৈরি করে ফেলেন বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। তবে এদিন সাংসদ জগন্নাথ সরকারের পাসপোর্ট আদালতে জমা রাখতে হয়।
উল্লে🐬খ্য, ২০১৯–এর ৯ ফেব্রুয়ারির রাতে ফুলবাড়ি এলাকায় সরস্বতী পুজোর উদ্বোধন করতে এসে আততায়ীদের গুলিতে গুরুতর জখম হন তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের। খুব কাছ থেকে তাঁকে একাধিকবার গুলি করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।