জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হতেই নানা তথ্য হাতে পেয়েছিল সিবিআই। আর তার উপর ভর করেই ছানবিন শুরু করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। কারণ উপযুক্ত প্রমাণ জোগাড় করতে না পার෴লে দুর্নীতি করেও বেঁচে যাবেন অনেকে। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এখন তাঁর জায়গা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেল। কিন্তু প্রথম দিনই ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক বলেছিলেন, বাড়ির ভিত খুব দুর্বল। অর্থাৎ তথ্য প্রমাণꦇের দিক থেকে ইডি সেভাবে বড় কিছু জোগাড় করতে পারেনি। এবার সেই কাজটি করতে আসরে নামল সিবিআই। আর তদন্ত শুরু করতেই তাঁদের হাতে এল ২০১৭ সাল। তাই বোঝা যাচ্ছে, রেশন দুর্নীতির শিকড় বহুদূর।
আসলে চাল উধাও হয়ে যেত! এটা যে কোনও ভৌতিক কাণ্ড নয় সেটা এবার সামনে আসতে শুরু করেছে। এমনই বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে সিবিআই। একাধিক চালকল থেকে চাল আসলেও চালের গুদাম থেকে রেশন দোকানে সেই চাল সরবরাহ হয়নি বলেই অভিযোগ। আর সিবিআই চালের গুদামে চাল আসার লগ বুক দেখেই সবটা বুঝতে পারছে। চাল এসেছিল সেটা উল্লেখ আছে। কিন্তু সেই চাল গেল কোথায়? উঠছে প্রশ্ন। বজবজ এবং সিরাকল থেকে চাল উধাও হও🍨য়ার অভিযোগ উঠেছিল। আবার ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই চালের মূল্য ছিল প্রায় ২০০ কোটি টাকার আশেপাশে। সেই চাল কোথায় উধাও হল? রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে নেমে এই তথ্যই জোগাড় করছে সিবিআই অফিসাররা।
সিবিআই তদন্তে নেমে হাতে নথি পেয়েছে ൲যে, বজবজ এবং সিরাকলের সরকারি গুদাম থেকে চাল উধাও হয়ে যেত। এমনকী প্রায় দেড় লক্ষ বস্তার চাল গায়েব হয়ে গিয়েছিল। যে💦 চালের বাজার মূল্য ছিল প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এমন নথি হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা বলে সূত্রের খবর। তখন খাদ্য দফতরের পক্ষ থকেএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বদলি করে দেওয়া হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার খাদ্য দফতরের বেশ কয়েকজনকে। সেই চাল ঠিক কোথায় গিয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই নানা তথ্য পেল সিবিআই।
আরও পড়ুন: ‘অ্যান্꧑টি ডিপ্রেশন’ ট্যাবলেট দেꦍওয়া হচ্ছে আটকে পড়া শ্রমিকদের, জানিয়ে দিল সরকার
আর কী জানা যাচ্ছে? সিবিআই তদন্তে নেমে যে নথি পেয়েছে সেটি হল— খাদ্য দফতরের একটা নোটিফিকেশন। এই নোটিফিকেশন থেকেই চাল উধাও হওয়ার তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে। এমনকী সেই নোটিফিকেশন পরখ করে তাঁরা দেখেছেন, এই চাল উধাও কাণ্ডে খাদ্য দফতরের অফিসারদের শোকজ করা হয়েছিল। সুতরাং চাল যে উধাও হতো সেটা একেবারে স্পষ্ট। এই তথ্য হাতে পেয়ে তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পেরেছে, দক্ষিণ ২৪ পরগণার বজবজ এবং সিরাকলে খাদ্য দফতরের গুদাম থেকে ৭৮৮৪.১৬৬ মেট্রিক টন অর্থাৎ ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬০০ চালের বস্তা কার্যত ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে। আবার ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার, ওপেন মার্কেট সেলস স্কিমের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১ কোটি ৭৯ লক্ষ ৪১ হাজার ৯২ টাকার চাল ছিল। ܫকুইন্টাল প্রতি যার দাম ২৫৬০.৮৪ পয়সা। ২০১৭ সালে এই চালকলগুলিতে এমন ঘটনা ঘটেছিল। যার তদন্তে নেমেছে সিবিআই।