💯 শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ সরকারি জমি। আর সেই জমিই কিনা বিক্রি হয়ে গেল! তাও আবার চলতি বাজারদরের প্রায় তিনভাগের একভাগ দামে! আরও চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, যিনি সেই জমি 'কিনেছেন' বলে দাবি করা হচ্ছে, তিনি এলাকারই এক দাপুটে তৃণমূল নেতার শাশুড়ি!
🐽পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার এই ঘটনা ঘিরে জমে উঠেছে তরজা। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এই ঘটনায় মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
🥂ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, এগরা সারদা শশীভূষণ কলেজের ২ ডেসিমেল জমি বেআইনিভাবে এক মহিলাকে হস্তান্তর করা হয়েছে বা বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু, সরকারি জায়গা কীভাবে এক ব্যক্তিকে বিক্রি করা হল, তার নাকি কোনও সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।
ℱআবার, যে মহিলাকে এই জমি বিক্রি করা হয়েছে, সেই পম্পা নন্দ সংশ্লিষ্ট কলেজেরই শিক্ষাকর্মী এবং একইসঙ্গে তিনি এগরা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি উদয় পালের শাশুড়িও! অভিযোগ আরও আছে। বলা হচ্ছে, ওই ২ ডেসিমেল জমির বর্তমান বাজারদর প্রায় ১৫ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা। কিন্তু, পম্পা নাকি সেই জমি কিনেছেন মাত্র ৫ লক্ষ ৫১ হাজার টাকার বিনিময়ে।
🔯স্থানীয় বাসিন্দাদের স্পষ্ট অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদলের স্থানীয় নেতার আত্মীয় হওয়ার সুবাদেই এই অন্যায় সুবিধা আদায় করে নিয়েছেন পম্পা নন্দ। সূত্রের দাবি, গত ৩১ জানুয়ারি এগরা কলেজের অধ্যক্ষ দীপক তামিলি অবসর গ্রহণ করেন। তার তিনদিন আগেই - অর্থাৎ - গত ২৮ জানুয়ারি এগরা কলেজের ওই ২ ডেসিমেল জমি পম্পাকে বিক্রি করা হয়।
🥂এখানে আরও লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, যে কলেজের জমি নিয়ে এত শোরগোল ও বিবাদ, সেই কলেজের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন তরুণকুমার মাইতি। যিনি কিনা এগরার বিধায়কও। প্রশ্ন উঠছে, এই বেআইনি জমি হস্তান্তরে তাঁর নেতৃত্বাধীন কমিটি ছাড়পত্র দিল কীভাবে? নাকি পম্পা তৃণমূল নেতার শাশুড়ি হওয়াতেই সব অনিয়ম নিয়মে পরিণত হয়েছে?
♌কিন্তু, সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে লেখালিখি শুরু হলেও প্রশাসনিকস্তরে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। যদিও তার মধ্যেই গত ৬ ফেব্রুয়ারি মহকুমাশাসকের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে পম্পার জামাই তথা তৃণমূল নেতা উদয় পালের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
🃏এদিকে আবার কংগ্রেস জেলা সভাপতি মানস কর মহাপাত্রের অভিযোগ, যেদিন থেকে তরুণকুমার মাইতি কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি হয়েছেন, সেই সময় থেকেই নাকি কলেজকে কেন্দ্র করে একের পর এক দুর্নীতি হয়ে চলেছে! কলেজের পড়ুয়াদের গলাতেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগের একই সুর শোনা গিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে।
🔥আর এগরা পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নায়কের বক্তব্য, তাঁর এই বিষয়ে কিছু জানা ছিল না। কিন্তু, এবার তিনি খতিয়ে দেখবেন। অনিয়মের এই অভিযোগ তাঁর গোচরেও আসেনি বলে সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন তরুণকুমার মাইতি!