আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার জেরে এখন গোটা রাজ্য উত্তাল। এইꦛ অভিযোগের জেরে প্রতিবাদ–আন্দোলন–ধরনা–স্লোগান সবই চলছে। তবে এখন এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এবার সেই তদন্তে ঢিলেমির অভিযোগ তুলে সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাওয়ের হুঁশিয♏়ারি দিলেন মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা মালতীপুরের বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সি। আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মালদার রতুয়ার পুখুরিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের ধরনা মঞ্চ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই একটা বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। এভাবে কেন্দ্রীয় সরকারি দফতর ঘেরাও করা যায় নাকি!
প্রায় ২০ দিন হয়ে গেল। এখনও তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি সিবিআই তদন্তের বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। এই বিষয়ে আবদুর রহিম বক্সি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিনিয়ত সিবি💦আইকে বলছেন তদন্ত শেষ করতে। বিজেপিকে একটা প্রশ্ন করবেন আপনারা। নবান্ন অভিযান করছেন কি চাইছেন। তারা একটাই কথা বলছে সরকার পদত্যাগ করে দিক। নির্যাতিতার কথা আমরা বলবো না। বিজেপি এটাই বলুক। আর না হলে তারা সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাও করুক। তদন্ত থেকে মুখ ফিরিয়ে চুপ করে বসে আছে সিবিআই। আর পশ্চিমবঙ্গকে একটা অগ্নিগর্ভ আগুনের মধ্যে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে সিবিআই। সিবিআইয়ের অফিস ঘেরাও করছে না কেন? প্রয়োজন পড়লে আমরা সিবিআই অফিস ঘেরাও করব।’
আরও পড়ুন: মতুয়া মহাসংঘের শীর্ষপদ খোয়ালেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের!
ইতিমধ্যেই জুনিয়র ডাক্তাররা লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছেন। পাল্টা সিবিআই দফতর ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিধায়ক। এই বিষয়ে মালতীপুরের বিধায়কের বক্তব্য, ‘এটা কোন আন্দোলন কর্মসূচি নয়। একজন নির্যাতিতা খুন হয়ে যাওয়া আমাদের পরিবারের মেয়ে। তার অপরাধ♌ীকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির ব্যবস্থা করার দাবি। এই দাবিকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। আজকে সিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করেছে। পুলিশ নাকি ব্যর্থ। কিন্তু আজকে তারা তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না। আমি বুঝতে পেরেছি, বিজেপিকে মাইলেজ দেওয়া এবং বিজেপি যাতে পশ্চিমবঙ্গকে অশান্ত করতে পারে তার সুযোগ করে দিতেই এই ঢিলেমি।’
তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক যখন এমন অভিযোগ তুলছেন এবং হুঁশﷺিয়ারি দিচ্ছেন তখন পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। মালদা দক্ষিনের বিজেপির সহ–সভ🔜াপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ‘ওনার রাজনীতিতে ভেসে থাকার এটা একটা কৌশল। এমন একটা উল্টোপাল্টা কথা বলছে যাতে সেটা কলকাতাতে যায়। তাই এই কথার কোনও বাস্তবতা নেই। স্বাভাবিকভাবেই সমস্ত কিছু রাজ্য সরকার লোপাট করে দিয়েছে। তারপরও সিবিআই তা ধীরে ধীরে বের করছে।’