আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্𒈔ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এখন সিবিআই তদন্ত করছে। তার মধ্যেই চিকিৎসক পড়ুয়াকে খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে যখন দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে, ঠিক তখনই এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে এবার🎐 গর্জে উঠল উত্তরপাড়ার একটি ক্লাব। তারা দুর্গাপূজার অনুদানের টাকা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দেয়। পরে ওই ক্লাব থেকেও জানিয়ে দেন তাঁরা। এমনকী অন্যদেরও অনুদান না নিতে আবেদন জানিয়েছে উত্তরপাড়ার শক্তি সঙ্ঘ ক্লাব। এমনকী দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ৮৫ হাজার টাকা প্রত্যাখ্যান করে ক্লাব কর্তৃপক্ষের বার্তা, ‘মেয়ের বিচার দিন, মায়ের পুজো নিজেরা বুঝে নেব।’
ইতিমধ্যেই আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই আটক করেছে। তারপর চলে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। আজ, শনিবারও সেই জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তার মধ্যেই ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানান, এই সিদ্ধান্ত একদমই রাজনৈতিক নয়। এই প্রতিবাদ আরজি কর হাসপাতালে ঘটা নির্মম ঘটনার♍ দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে ক্লাবের এক সদস্যের কথায়, ‘হয়তো আমদের এই বছর দুর্গাপুজো করতে একটু অসু💜বিধা হবে। কিন্তু আমরা ক্লাবের সকলে মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা দুর্গাপুজোর এই অনুদান নিচ্ছি না।’
আরও পড়ুন: আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল জাতীয় মহিলা কমিশন, কী 🐷তথ্য আছে?
আরজি কর হাসপাতালে শৌচাগারের অভাব, আল🐻ো এবং নিরাপত্তায় ফাঁক রয়েছে বলেও মহিলা কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এবার উত্তরপাড়ার শক্তি সঙ্ঘের সদস্য জ্যোৎস্না পাত্রের বক্তব্য, ‘এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক নয়। কারণ, আমাদের ক্লাবের কোনও রাজনৈতিক রং নেই। এই প্রতিবাদ আরজি কর হাসপাতালে ঘটানো দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে। এই সিদ্ধান্তে আমরা আর্থিক অসুবিধার মধ্যে পড়ব ঠিকই, কিন্তু ক্লাবের সকল সদস্য সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এই আবহে শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির দাবিতে পথে নামেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই তদন্ত অনন্তকাল চলতে পারে না বলে ডেডলাইন বেঁধে দেন তিনি। যদিও এই নিয়ে উত্তরপাড়া পুরসভার কাউন্সিলর তথা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষের কথায়, ‘আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পথে নেমেছেন। সরকার সব রকম সাহায্য করছে। সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। এখন যদি কোনও ক্লাব এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে সেটা ওনাদের সম্পূর্ণ♏ নিজেদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত সরকারি দফতরে লিখিত আকারে জেলা প্রশাসনের কাছে জানানো দরকার। রবিবার আমরাও উত্তরপাড়ায় এক প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছি।’