গত বছরের তুলনায় এবছর ধান ভাঙানোর জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে এগিয়ে আসছে না রাইস মিলগুলি। গত বার রাজ্যে ধান ভাঙানোর জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল ৫৭৮টি রাইস মিল। তবে এবার এখনও পর্যন্ত ১৬৬ টি রাইস মিলের সঙ্গে চুক্তি করতে পেরেছে খাদ্য দফতর। ইতিমধ্যেই সহায়ক মূল্যে ধান কিনতে শুরু ক♉রেছে রাজ্য সরকার। তার ওপর এবছর রাজ্যের ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের তুলনায় এবার বেশি রয়েছে। ফলে রাইস মিলগুলি অনীহা দেখালে সে ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলেই মনে করছেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা। আবার এক্ষেত্রে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার প্রভাব পড়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও রাইস মিলের মালিকদের দাবি, তারা সরকারের কাছে বেশ কিছু দাবি-দাওয়া জানিয়েছেন। সেগুলি পূরণ হলেই চুক্তি হবে।
আরও পড়ুন: চাল নিয়ে কোনও ꦏচালাকি নয়! রাজ্যেকে ‘ধোঁকা’ দিলেই ব্যবস্থা, দেওয়া হল হুঁশিয়ারি
সাধারণত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বনমন্ত্রী হলেও তিনি এখনও রাজ্য সরকারের সহায়ক মূল্যে ধান কেনার এজেন্সির প্রধান রয়েছেন। এদিকে, রাজ্য সরকার ধান ক্রয় কেন্দ্র থেকে ধান কিনে থাকলেও এজেন্সির মাধ্যমে বেশি ধা🃏ন কিনে থাকে। ফলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সেই এজেন্সির প্রধান হওয়ায় রাইস মিলের মালিকদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এছাড়া, এবার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টির পরিমাণ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে রাইস মিলের মালিকদের খারিফ মরশুমে বেশি পরিমাণে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি জমা দিতে হবে। সাধারণত রাজ্য সরকারের নিয়ম🦋 অনুযায়ী, ৫০০ টন ধানের জন্য ২৫ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি সরকারের কাছে জমা করতে হয়। কিন্তু, সে ক্ষেত্রে চাল দিতে এক মাস দেরি হলে সেই ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি সমপরিমাণ ধানের ক্ষেত্রে হয়ে যাবে ৩৫ লক্ষ টাকা। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট রাইস মিলকে কালো তালিকাভুক্তও করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। তা নিয়েও রাইস মিল মালিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন আধিকারিকদের অনেকেই।
খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ নভেম্বরের মধ্যে চুক্তি করলে সে ক্ষেত্রে রাইস মিলগুলিকে বিশেষ সুবিধা দেবে রাজ্য। চুক্তি বিষয়েꦐ জেলাশাসকদের নজর রাখতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, গতবছর রাজ্যের সহায়ক মূল্যে ৬০ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্য ছিল। তবে ৫৩.৭৫ লক্ষ টনౠ ধান কিনেছিল রাজ্য। আর এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭০ লক্ষ টন। এ বছর রাজ্য সরকারের সঙ্গে যেসমস্ত রাইস মিলগুলি চুক্তি করেছে তার মধ্যে হুগলির ৭৬টি, পূর্ব মেদিনীপুরের ২১ টি, পূর্ব বর্ধমানের ৩২ টি, বাঁকুড়ার ৭টি রাইস মিল রয়েছে। জানা গিয়েছে, রাইস মিল সংগঠনগুলির সঙ্গে জেলা প্রশাসন বৈঠক করে ১০ নভেম্বরের মধ্যে চুক্তি করার ওপরে জোর দেবে।