চতুর্থীর রাতেই পরিবার নিয়ে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু পঞ্চমীর সকালেই ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ল গোটা পরিবার। স্ত্রী ও দুই ছেলেকে ঠাকুর দেখে ভোরে গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। গাড়ির ভিতরেই রক্তাক্ত অবস্থায় আটকে পড়ে থাকেন চারজন। এই ঘটনা♕ দেখে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাড়ি খুলে তাঁদের উদ্ধার করেন। প্রত্যেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। বাঁকড়ার হাওড়া আমতা রোডের পথ দুর্ঘটনায় সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যাত্রীরা প্রাণে বেঁচে গেলে দুর্গাপুজো কাটবে হাসপাতালেই বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ প্রত্যেকে ভয়াবহ চোট পেয়েছেন। যꦺা সেরে উঠতে সময় লাগবে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকড়ার বাসিন্দা কার্তিক কুমার গুপ্ত তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে চতুর্থীর রাতে গাড়ি করে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। পঞ্চমীর ভোরে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। কার্তিকবাবু তখন নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। বাঁকড়ার হাওড়া আমতা রোড থেকে জাপানি গেটের অদূরেই তাঁদের বাড়ি। কিন্তু বাড়ি পৌঁছনোর আগেই ওই রাস্তা ধরে এগোতেই একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি তাঁ🐽দের গাড়িতে ধাক্কা মারে। রীতিমতো পিষে দিয়ে চলে যায়। তার জেরে গাড়ির সামনের ওই অংশ রীতিমতো দুমড়ে মুচড়ে যায়। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন চারজনই। কিন্তু রক্তারক্তি হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তাঁরা।
অন্যদিকে ওই গাড়িতে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যেতে গেলেও লরিকে ধরে ফেলে পুলিশ। ওই চালক মদ্যপ ছিল বলেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। পুলিশ অবশ্য বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। চালকের ভোরে ঘুম এসে যাওয়ার জন্যও এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। লরিটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাড়ি এবং লরি থা♏নায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই পথ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওখানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে গাড়ি সঠিক পথেই চলছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গণ্ডগোল পাকায় লরিটি। আর তার জেরেই এই পথ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: টানা সাত মাস বন্ধ থাকবে বিদ্যাসাগর সেতু, দুর্গাপুজো মিটলেই কাজ শুরু 🍒জারি বিজ্ঞপ্তি
আর কী জানা যাচ্ছে? দুর্গাপুজোর পঞ্চমীর ভোরে রাস্তায় লোকজন ভালই ছিল। বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন মানুষজন। আর পরিস্থিতি বেগতিক দেখে খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে গাড়ি থেকে বেশ কমরত করে চারজনকে উদ্ধার করেছে। তারপর তাঁদের হাসপাতালে পাঠায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি🍬 এবং লরিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় হাওড়া আমতা রোডে অনেকক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয়। চিকিৎসার পর কার্তিক গুপ্ত শুধু একটাই কথা বলেন, ‘ঈশ্বরের আশীর্বাদেই আজ আমরা বেঁচে আছি।’