শৈলশহরে বেড়াতে গিয়ে টয়ট্রেন চড়ে অনেকেই নস্টালজিক হন। কিন্তু রোপওয়ে না থাকায় ভ্রমণ যে সম্পূর্ণ হচ্ছিল না ভ🎐ඣ্রমণপিপাসুদের। দার্জিলিংয়ে রোপওয়ে আট বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। আর তা চালু করার দাবি উঠতে শুরু করেছে নানা মহল থেকে। এই পরিস্থিতিতে আবার পুরনো রুটেই দার্জিলিংয়ের রোপওয়ে চালাতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বলে সূত্রের খবর। পাহাড়ের পর্যটনে অন্যতম আকর্ষণ ছিল রোপওয়ে। এবার সেটাই ফিরিয়ে আনতে চাইছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যবাহী রোপওয়ে সরকারি–বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে আবার চালু করা হোক।
এদিকে এই রোপওয়ে চালু করার আগে বাড়তি নজর দেওয়♊া হবে যাত্রীদের নিরাপত্তার দিকে বলে জানা গিয়েছে। দার্জিলিংয়ে যাঁরা বেড়াতে যান তাঁরা পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান। সেটা রোপওয়ের মাধ্যমে করা সম্ভব। তাই উপর থেকে শৈলশহরকে চাক্ষুস করতেই রোপওয়ে–তে চড়েন। এমনকী এখানের স্থানীয় মানুষজন যাতায়াতের জন্যও আগে রোপওয়ে ব্যবহার করতেন। ২০০৩ সালে দার্জিলিংয়ের এই রোপওয়ে ছিঁড়ে যায়। তখন চারজন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল। তাই আট বছর রোপওয়ে পরিষেবা বন্ধ ছিল। ২০১২ সালে নতুন করে এই পরিষেবা চালু হলেও তা সম্পূর্ণ ছিল না। অনেকটা কাটছাঁট করা হয়। আপাতত যে রুটে রোপওয়ে চলছে সেটার দূরত্ব মাত্র ২.৩ কিলোমিটার।
রোপওয়ের ইতিহাস ঠিক কী? অন্যদিকে ১৯৬৮ সালে রাজ্য বনদফতরের উদ্যোগে দার্জিলিংয়ের চকবাজার থেকে সিংলা বাজারের মধ্যে প্রথম রোপওয়ে সার্ভিস চালু হয়। পরে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় রাজ্যের বন উন্নয়ন দফতরের হাতে। প্রথমদিকে এই রোপওয়ে চলত সিঙ্গল ট্র্যাক জিক ব্যাক প্রযুক্তিতে। ১৯৯৬ সালে নতুন পদ্ধতি আনা হয়। তখন চলতে শুরু করে ♔মনোমেবল গোন্ডলা প্রযুক্তিতে। আর এই রোপওয়ের একদম নীচের দিকে রয়েছে রাম্মাম নদী ও রাম্মাম উপত্যকা। পাহাড়কে আরও পর্যটকবান্ধব করে তুলতে পুরনো রুটে আবার নতুন করে রোপওয়ে পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার এটা বেসরকারি এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। যে পুরনো রোপওয়ের পথ ছিল সেটার আমূল সংস্কার করা হবে। আর গড়ে তোলা হবে নতুন টার্মিনাল।
আরও পড়ুন: ট্রেনে🐬র ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল অন্তঃসত্ত্বা হাতি, মালগাড়ির ধাক্কায় মর্মান্তিক পরিণতি
আর কী জানা যাচ্ছে? যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই রোপওয়ে নতুন করে ꦿগড়ে তোলার কথা ভাবা হয়েছে। যাতে কোনওরকম দুর্ঘটনা না ঘটে। এমনকী যদি দুর্ঘটনা ঘটেও তাহলে মানুষের প্রাণ যাবে না। দার্জিলিং যেহেতু ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা তাই সেখান൲ে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। দুর্ঘটনায় যাতে সঙ্গে সঙ্গে মানুষজন নামিয়ে আনা যায় সেই ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এখানে রোপওয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছেলে–মেয়েদের রাখা হবে। সুতরাং কর্মসংস্থানের একটা বিষয় থাকছে। বিপদ ঘণ্টা থেকে ঘোষণা এবং সিসিটিভি রাখা হচ্ছে গোটা প্রক্রিয়াটায়।