৮ অক্টোবর, বৃহস্পতিবারের পর আজ, রবিবার। ফের সাধারণ মানুষের রোষের মুখে পড়ল রেল পরিষেবা। সেদিন সোনারপুর রেলস্টেশনে স্পেশ্যাল ট্রেনে ভাঙচুর চালায় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টিও। সেই পাথরে ভেঙে যায় ট্রেনের জানালার কাঁচ। একাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করে রেলপুলিশ। কিন্তু চারদিনের মধ্যে ফের একই ধরনের ঘটনা ঘটল হুগলির পাণ্ডুয়া ও খন্ন্যান স্টেশনে। এদিনও রেল অবরোধ করে রেললাইনে স্ল্যাব ফেলে বসে পড়ে সাধারণ যাত্রীরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়।বৃহস্পতিবার সোনারপুরের ঘটনার পর এ ধরনের বিক্ষোভ, অবরোধ এড়াতে কড়া ব্যবস্থা নেয় রেল। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার স্টেশনগুলিতে প্রতি পদক্ষেপে নিরাপত্তা বেষ্টনী বসানো হয়েছে। এর পর সতর্ক হল হাওড়া ডিভিশনও। জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে হাওড়া ডিভিশনে ৫৩টি রেলস্টেশনে আরও সতর্কতামূলক সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করছে রেল।শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার স্টেশনগুলিতে কীরকম নিরাপত্তা বাড়াল রেল কর্তৃপক্ষ? জানা গিয়েছে, প্রত্যেকদিন চেকিং করে যাত্রীদের ঢোকানো হচ্ছে প্লাটফর্মগুলিতে৷ রেলপুলিশ রীতিমতো স্টেশনগুলি ঘিরে রাখছে। সোনারপুর, বারুইপুর, কাকদ্বীপ, নামখানা, ক্যানিং, ঘুটিয়ারি শরিফ, চম্পাহাটি, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ড হারবার–সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ঢোকার মুখেই থাকছেন রেলপুলিশ ও টিকিট পরীক্ষকরা। তাঁরা সাধারণ যাত্রীদের চেকিং করছেন৷ নিয়মতি মাইকিং চলছে স্টেশনগুলিতে। সাবধান করা হচ্ছে যাতে কেউ অবৈধভাবে প্ল্যাটফর্মে না ওঠে৷ মাইকিংয়ে বলা হচ্ছে, স্পেশ্যাল ট্রেন শুধুমাত্র রেলকর্মী এবং স্বাস্থ্যকর্মী–সহ জরুরি পরিষেবায় যুক্ত লোকজনের জন্য।যদিও সচেতন করা সত্ত্বেও জনরোষ থামানো যাচ্ছে না। যার প্রমাণ রবিবার হুগলির দুই স্টেশনের ঘটনা। কারণ, সাধারণ মানুষের জন্য রেল সবচেয়ে সুবিধাজনক এবং সাশ্রয়কারী যোগাযোগ মাধ্যম। এমন কিছু এলাকা রয়েছে যে সব জায়গার সঙ্গে শহরের যোগাযোগ মাধ্যম শুধুমাত্র রেল। রেলের ওপর নির্ভর করে অনেক মানুষ তাঁদের জীবিকাও বেছে নিয়েছেন। তাই এই করোনা পরিস্থিতিতে এখনও রেল পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।