এবার সন্দেশখালি কাণ্ডের ড্য♛ামেজ কন্ট্রোল করতে দলীয় স্তর থেকে দু’টি তদন্ত কমিটি গড়ল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। আবার ওই এলাকায় যে সব গ্রামবাসী জমির পাট্টা পেয়েছেন অথচ ভূমি দফতরে রেকর্ড করা হয়নি এবার সেসব শুরু করতে উদ্যোগী হল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত জেলা পরিষদ। সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তম সর্দাররা ওই সব জমি দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ। এই আবহে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি বারাসতে জেলা পরিষদ ভবনে জেলা সভাধিপতির ঘরে সন্দেশখালির পাট্টা পাওয়া গ্রামবাসীদের আসতে বলা হয়েছে। সেখানে পাট্টা পাওয়া জমির ๊রেকর্ড করা হবে। যাঁরা রেকর্ড আগে করতে পারেননি তাঁদের। এখানে যাতায়াতের খরচ জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী নিজেই বহন করবেন।
এদিকে সন্দেশখালি ইস্যুতে বিজেপি ফেঁসে গিয়েছে। কারণ আজ, বৃহস্পতিবার একটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে গণ্ডগোল পাকানোর পরিকল্পনা করতে শোনা যাচ্ছে বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এবং জনৈক ব্যক্তির। যদিও সেই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। তবে পাট্টা জমির রেকর্ড করা নিয়ে নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘জেলা ভূমি দফতরের 🅠অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওঁদের জমির রেকর্ড করা হবে। জেলাশাসককে নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালির দু’টি ব্লকেই যাব। সেখানে জমি সংক্রান্ত কোনও অনিয়ম আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হবে🦩।’
অন্যদিকে সন্দেশখালিতে মূলত অশান্তি তৈরি হয় জমির সঠিক দাম না দেওয়া নিয়ে। সেটাকেই বিরোধীরা অন্য পথে চালনা করতে চেয়েছেন। যদিও গোটা বিষয়টি দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের দু’একজন নেতা জমি নিয়ে সঠিক দাম দেননি বলে অভিযোগ। তার প💖্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ইস্যুকে উসকানি দিয়েছে বিজেপি–সিপিএম। তাই তাদের নেতারাও গ্রেফতার হন। এই বিষয়ে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘গত দু’বছর ইজারার টাকা, ভেড়ির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ আছে। আমরা বলেছি, ইজারার টাকা ফেরত না পাওয়া মানুষের তালিকা তৈরি করতে। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব দলের।’
আরও পড়ুন: ‘তফসিলি–আদিবাসী সম্প্রদায়ꦇের মানুষের দেহের রং দিয়ে বোঝা যায়’, বি꧅ধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক
উত্তম সর্দার পাট্টার জমি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করতেন। ইজারার টাকাও দেননি বলে অভিযোগ। তবে নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘জোর করে জমি দখল এবং ভেড়ির টাকা, ইজারার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে কি না দু’দিনের মধ্যে কমিটি রিপোর্ট দেবেন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর কাছে। যাঁদের জমি আছে তাঁদের রেকর্ড করা ♎হবে। যাতায়াত এবং খাওয়া খরচ আমি নিজেই দেব।’ বির🌠োধীরা তবু বিঁধতে ছাড়ছে না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা থাকা উচিত। এখন ক্ষতিপূরণ দেবেন!’ বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস মিত্র বলেন, ‘শাহজাহান বাহিনী নারীদের উপর যে অত্যচার করেছে। সেটা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে তৃণমূল ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে।’