বসিরহাট পুলিশ জেলায় একাধিক বদলির নির্দেশ জারি হয়েছে। আর এটা এমন সময় হয়েছে যখন দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন। ঠিক তার প্রাক্কালে পুলিশ এবং প্রশাসনে একাধিক বদলি করা হচ্ছে। এবার বসিরহাট পুলিশ জেলায় এই বদলির বিষয়টি সামনে এ🎐সেছে। শেখ শাহজাহান এখন সিবিআইয়ের হেফাজতে। আর তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে এখন সন্দেশখালিতে প্রতিনিয়ত যাতায়াত শুরু করেছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সেটা নিয়ে গোটা এলাকায় উৎসাহ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সন্দেশখালি থানার ওসি বদল করে দিল প্রশাসন।
এদিকে রাত পোহালেই ব্রিগেডে জনগর্জন সভা হবে। তাতে জেলা থেকে শহরমুখী হবে বিপুল পরিমাণ মানুষজন। আবার ওই দিনই সন্দেশখালিতে সভা করার কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই আবহে হেমনগর কোস্টাল থানার ওসি মৃণাল রায়কে বাদুরিয়া পুলিশ স্টেশনে পাঠানো হচ্ছে। আর বাদুরিয়া পুলিশ স্টেশনের দায়িত্বে থাকা প্রশান্ত কুমার মণ্ডলকে হেমনগর কোস্টাল পুলিশ স্টেশনের ওসি হিসেবে নিয়ে আসা হচ্ছে। সন্দেশখালি পুলিশ স্টেশনের ওসি হিসেবে কর্মরত বিশ্বজিৎ সাপুইকে বসিরহাট পুলিশ স্টেশনে পাঠানো হয়েছে। বসিরহাট পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের 🐲ওসি গোপাল সরকার সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন। শনিবার এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হাসান মেহেদী রহমান।
আরও পড়ুন: ‘এখন♏ আমি অন্ধকারের পোস্টার বয়’, শেখ শাহজাহানের সওয়াল কলকাতা হাইকোর্টে
অন্যদিকে বসিরহাট পুলিশ জেলার এসওজি শোভন ঘোষকে, বসিরহাট পুলিশ জেলার ওসি, এসওজি করা হয়েছে🐈। সম্প্রতি বসিরহাট থানার আইসি কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানো হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁকে সিআইডির ইনস্পেক্টর পদে বদলি করা হয়েছে। বদলে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানার আইসির দায়িত্ব দেওয়া হয় রক্তিম চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি বর্ধমান থানায় কর্মরত ছিলেন। বসিরহাট পুলিশ জেলায় আইনশৃঙ্খ🐻লার দায়িত্বে চারজন সাব ইন্সপেক্টরকেই সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা হলেন, জয়ন্ত ঘোষ, তাপস কান্নার, শৈলেন্দ্র মিস্ত্রি এবং রাজু মণ্ডল। তাঁদের নানা থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া সন্দেশখালি নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই এই বদলি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এটাকে রুটিল বদলিই বলা হচ্ছে পুলিশের তরফে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে সন্দেশখালির দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা শেখ শাহজাহান। রাজ্য পুলিশই তাঁকে গ্রেফতার করে। যদিও পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁকে তুলে দেওয়া হয়েছে সিবি🐎আইয়ের হাতে। সন্দেশখালির পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তার পরেও এই রদবদল নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তবে দু’দিন আগে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ কলকাতায় এসেছিল। তখন সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশন বিরক্তি প্রকাশ করে। তাতে আশঙ্কা করা হয়, লোকসভা নির্বাচনের আগে বসিরহাট পুলিশ জেলায় রদবদল করবে নির্বাচন কমিশন। তাই প্রশাসনই আগে তা করে দিল।