পুলিশের বাধার মুখে পড়ে পুলিশেরই প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন তৃণমূল নেতা। শনিবার রাতে ভাঙড়ে ঢোকার মুখে বাধা পেয়ে পুলিশের প্রশস্তি গাইলেন তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লা। তাঁর দাবি, পুলিশ নিরপেক্ষ। তাই তাঁকে আটকেছে।পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনার দিন ভাঙড়ে হিংসার পর ভাঙড় থানা এলাকায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। ওদিকে শনিবার ভাঙড়ে ঢোকার চেষ্টা করেন স্থানীয় বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। কিন্তু তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও ভাঙড়ে ঢুকতে পারেননি তিনি। ওদিকে শনিবার সকালে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ভাঙড়ের ভোগালি এলাকার ১৭৪ নম্বর বুথের তৃণমূলের বুথ সভাপতি শেখ মোসলেমের। ময়নাতদন্তের পর শনিবার বিকেলে দেহ নিয়ে তাঁর বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করেন সওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামরা। কিন্তু ভাঙড়ে ঢোকার মুখে তাদের থামায় পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়, মৃতের পরিজন ছাড়া কেউ দেহের সঙ্গে যেতে পারবে না। পুলিশের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলার পর রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সওকত মোল্লা। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, এতে প্রমাণ হয় পুলিশ নিরপেক্ষ। তাই আমাদের আটকেছে।শেখ মোসলেমের মৃত্যুর জন্য ISF-কে দায়ী করেন সওকত সাহেব। বলেন, গত ৭ জুলাই মোসলেমের ওপর আক্রমণ হয়েছে। আক্রম করেছে ISF-এর দুষ্কৃতীরা। তার পর ১১ জুলাই ভোটগণনার দিন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে তারা। যাতে অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপার ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছেন। তাহলে বুঝুন ভাঙড়ে কারা সন্ত্রাস করছে।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষমতাসীন দল যদি বিরোধীদের সন্ত্রাস থামাতে না পারে তাহলে তো তারা নিজেরাই নিজেদের অযোগ্যতার প্রচার করছে। পুলিশ প্রশাসন হাতে থাকতেও কেন নিজেদের কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না তৃণমূল। না কি এর পিছনে কোনও অন্য কোনও সমীকরণ রয়েছে? যা ঢাকতে ISF-কে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে?