দিন কয়েক আগেই নবান্নের সভাঘর থেকে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই রাজ্য জুড়ে অবৈধ নির্মাণ রুখতে তৎপর হয়েছে পুলিশ, পুরসভা এবং অন্যান্꧑য দফতর। এরইমধ্যে এবার সমুদ্র সৈকতের মাটি কেটে বেআইনিভাবে বহুতল নির্মাণের অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে, কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের দরিয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কানাইচট্টা এলাকায় সমুদ্রের চর🦋 থেকে জেসিবি মেশিনে করে কাটা হচ্ছে মাটি। এই অভিযোগ সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমা শাসক।
আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশে মাঝেরহাটে পার্টি অফিস ভাঙতে গিয়ে পুলিশকে বাধা, তুমুল 🍨উত্তেজনা
মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, যেখানে ম♌াটি কাটা হচ্ছে তার পাশেই একটি বহুতল নির্মাণ হচ্ছে। এক বিনিয়োগকারি সমুদ্রের ধারে মন্দিরের পাশে একটি জমি কিনেছেন। সেই জমিতে এই বহুতল নির্মাণ গড়ে উঠছে। সেখানে তৈরি করা হচ্ছে একটি হোটেল। এই নির্মাণের জন্যই সমুদ্র সৈকতের মাটি তুলে সেই জায়গা ভরাট করা হচ্ছে।
এই ঘটনার পরেই মসজীবীরা স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু, প্রশাসন কোনও পদক্ষপ করেনি বলে অভিযোগ মৎস্যজীবীদের। শেষ পর্যন্ত তারা মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানান। তারা দাবি করেছেন, যেখানে সমুদ্র সৈকতের মাটি কাটা হচ্ছে তারপাশেই একটি খাল রয়েছে। সেই খাল বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করেন মৎস্যজীবীরা। 💙তারা সেখানে নৌকা বেঁধে রাখার পাশাপাশি মাছ শুকিয়ে নেন। কিন্তু, সেই জায়গায় অবৈধভাবে নির্মাণ হওয়ার ফলে তাদের জীবিকা ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মৎস্যজীবীরা। এর পরেই সমুদ্র সৈকত বাঁচাতে মৎসজীবীরা মহকু🦩মা শাসকের কাছে অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমা শাসক।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে সোমবার নবান্নে একাধিক দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে পুলিশ প্রশাসন থ✅েকে শুরু করে পুরনিগমগুলির ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। অবৈধ নির্মাণ, ফুটপাথ দখল, জমি মাফিয়া সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আধিকারিকদের ধমক দেন। তারপরই নড়েচড়ে বসে রাজ্য-প্রশাসন। এবার সমুদ্র সৈকতে এমন অভিযোগ পাওয়ায় তৎপর হল স্থানীয় প্রশাসন।