জয়নগরে বালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগের ঘটনায় এবার বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করা হল। বারুইপুর জেলা পুলিশের তরফে এই সিট গঠন করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, বিশেষ তদন্তকারী এই দলে রয়েছেন পুলিশের সাতজন সদস্য।এই দলের নেতৃত্বে রাখা হয়েছে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপান্তর সেনগুপ্তকে। তাঁর নেতৃত্বে তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন বারুইপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) অতীশ বিশ্বাস, জয়নগরের সিআই সুবীর ঢালি, এসআই ত্রিদিব মল্লিক, এসআই সৌমেন দাস ও এসআই তন্ময় দাস-সহ আরও একজন পুলিশ কর্মী।মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার এই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করার কথা ঘোষণা করেন।এদিকে, রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের তরফে জয়নগরের ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেওয়া হলেও বিতর্ক থামছে না, কমছে না স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ।মঙ্গলবার সকালেও এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল। এদিন ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় মিছিল করেন বাসিন্দারা। আর ঠিক সেই সময়েই সেখানে গিয়ে হাজির হন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) অতীশ বিশ্বাস।এলাকায় ঢুকতেই প্রবল জনরোষের মুখে পড়তে হয় ওই পুলিশ আধিকারিককে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।অভিযোগ উঠছে, এই সময় নাকি কয়েকজন ব্যক্তি পুলিশের গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন এসডিপিও। তারপর হেঁটেই গ্রামে ঢোকেন তিনি।অন্যদিকে, এদিন গড়ানকাটি এলাকাতেও পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের দাবি, কর্তব্যরত একজন মহিলা কনস্টেবল অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে ওই গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়েই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। লাঠি, বাঁশ, লোহার রড নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।এদিকে, মঙ্গলবারই নিহত বালিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জয়নগরের সাংসদ তথা তৃণমূলের নেত্রী প্রতিমা মণ্ডল। তিনি সন্তানহারা বাবা-মায়ের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।সাংসদের বার্তা, আইন ও বিচারব্যবস্থার উপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তাঁর বিশ্বাস, এই ঘটনায় প্রকৃত দোষী ব্যক্তির কঠোর শাস্তি হবে এবং নিহত বালিকার পরিবার সুবিচার পাবে।উল্লেখ্য, এর আগে গত শনিবারও নিহত বালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন সাংসদ। কিন্তু, সেই সময় প্রবল জনরোষের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। যার জেরে সেদিন তাঁকে ফিরে যেতে হয়েছিল। কিন্তু, মঙ্গলবার নিহত বালিকার পরিবারের কাছে পৌঁছতে পারেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।