কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তবে এরপরও মন ভালো নেই তাঁর। 'ঐতিহাসিক মুহূর্তে'র সম্মখীন হয়েও তা বাধা। আর এতেই এবার মতুয়া আবেগে শান দিয়ে বিরোধীদের বিঁধলেন শান্তনু। উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনের প্রথমদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন মন্ত্রীদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন সংসদে। তবে বিরোধীদের হট্টগোলে তা পারেননি মোদী। আর ঠিক এই কারণেই মন খারাপ বগাঁর সাংসদের। এই বিষয়ে একটি টুইট করে নিজের দুঃখের কথাও জানান জাহাজ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী।শান্তনু ঠাকুর টুইটে লেখেন, 'সারা ভারত মতুয়া সঙ্ঘের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কংগ্রেস এবং তার জোটসঙ্গীরা সেই কাজটাই করল যা তারা গত ৭০ বছর ধরে এই সম্প্রদায়ের জন্য করে এসেছে। সব সময়ই তারা মতুয়াদের এগিয়ে যাওয়া ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।' প্রধানমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে শান্তনু আরও বলেন, 'এসসি, এসটি এবং ওবিসির অনেকেই মন্ত্রিসভায় সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু বিরোধীরা বাধা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর পরিচয় পর্ব থেকে তাঁরা বঞ্চিত থাকলেন।'উল্লেখ্য, সোমবার সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হতে না হতেই বিরোধীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারে অন্তর্ভুক্ত নতুন মন্ত্রীদের পরিচয় করাতে চেয়েছিলেন। তবে মোদী কিছু বলার আগের থেকেই সংসদে হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান অনেকে। নিজের বক্তব্য পুরোটা পেশ করতেই পারেননি প্রধানমন্ত্রী মোদী।এর জেরে বিরক্ত হয়ে মোদী পালটা তোপ দাগেন বিরোধীদের। বলেন, 'আমি ভেবেছিলাম নতুন সংসদে নতুন উদ্যম থাকবে যে এত বেশি সংখ্যায় মহিলা, দলিত, পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষ, কৃষকের সন্তান, ওবিসি মন্ত্রী হয়েছেন। ভেবেছিলাম পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষদের মন্ত্রিসভায় দেখে বিরোধীরা খুশি হবেন। তবে আমার মনে হয় যে এঁরা মন্ত্রী হওয়ায় কেউ কেউ হয়তো খুশি নয়। তাই তাঁদের স্বাগত জানাতে দিতে চান না বিরোধীরা।'