দিব্যি হাঁটছেন, ঘুরছেন। পরিচারিকার কাজও করেন। কিন্তু পঞ্চায়েত থেকে তাঁকে জানানো হয়েছে চারবছর ধরেই তিনি মৃত। একথা শুনে কার্যত ওই মহিলার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার থানা এলাকার নিশাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর ঝাপবেড়িয়া গ্রামের ঘটনা। মহিলার দাবি, তাঁর নামে সরকারি ঘরের টাকা এসেছিল। সেই টাকা আত্মসাৎ করার জন্য পঞ্চায়েত তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে দিয়েছে। এদিকে রাস্তার ধারে একচিলতে ঘরে ২ ছেলে ও ২ মেয়েকে নিয়ে তাঁর সংসার। ঘর পাওয়া তো দূরের কথা নিজেকে জীবিত প্রমাণ করাটাই এখন মহিলার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আজিমা বেগম জমাদার নামে ওই মহিলা বলেন, কিছুদিন আগে ভোট দিতে গিয়েছিলাম, বলল তোমার নাম তালিকায় নেই। এরপর পঞ্চায়েতে গেলাম। সেখানে প্রধান বলল আপনার ২০১৮ সালে মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালের আগে আমি ভোট দিয়েছিলাম। আমি জেনেছি আমার নামে একটা ঘরের টাকা এসেছিল। তখন পঞ্চায়েত আমাকে মৃত দেখিয়ে ওই টাকা আত্মসাত করে নেয়। কিন্তু আমি তো জীবিত রয়েছি। সব জায়গায় বলছে চারবছর ধরে যিনি মৃত তাকে জীবিত করব কী করে? এদিকে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দুবছর ধরে ওই মহিলাকে খুঁজে পাইনি। আর এখন বলছেন ভোটার লিস্ট থেকে বাদ পড়ে গিয়েছে। তার নাম তোলা হবে। বিডিও বলেন, তিনি চাইলে নিয়ম মেনে আবেদন করতে পারেন। তাঁর নাম তোলা হবে।