হাওড়ার শিবপুরে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। মোট ৮.১৫ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে শৈলেশ এবং তাঁর ভাইদের বাড়ি–গাড়ি থেকে। আর দুটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব, বেশকিছু গয়না এবং ব্যাঙ্কের নথি মিলেছে। শৈলেশের দুই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে ২০ কোটি টাকা আছে বলে খবর। সেই টাকা বাজেয়ღাপ্ত করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ অনুমান করছে, শৈলেশ পাণ্ডে বিদেশ থেকে কালো টাকা এনে সাদা করতেন। এমনকী বিভিন্ন ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে সেই টাকা ট্রান্সফার করিয়ে সাদা করতেন।
ঠিক কী ঘটেছে শিবপুরে? রবিবার শিবপুরের মন্দিরতলায় টাকার পাহাড়ে🐷র হদিশ মিলেছিল। নগদে ৮ কোটি ১৫ লক্ষ ছাড়াও দুটি ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ কোটি টাকা পাওয়া যায়। শিবপুরের অভিজাত ব্যবসায়ী ও পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শৈলেশ পাণ্ডের গাড়ি থেকে নগদ ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। রাতে মন্দিরতলায় ব্যবসায়ীর আরও একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়🧔ে নগদ ৫ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। বক্স খাটের মধ্যে লুকিয়ে রাখা আটটি ব্যাগের মধ্যে ছিল টাকা। উদ্ধার প্রচুর সোনার গয়না। শৈলেশ ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করত। নরেন্দ্রপুরে ব্যাঙ্কের একটি অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকার লেনদেন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হতেই কানাড়া ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এখন সপরিবারে পলাতক ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডে। তবে তদন্তকারীদের অনুমান, এই বিপুল পরিমাণ টাকা এসেছিল বিদেশ থেকেই। কালো টাকা সাদা করতে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল।
তদন্তকারীরা কী জানতে পেরেছেন? এই টাকার উৎস নিয়ে বেশকিছু তথ্য হাতে♛ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, আর্থিক তছরুপের সঙ্গে জড়🐲িত ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। ভুয়ো নথি দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলতেন শৈলেশ। শৈলেশের ফ্ল্যাট সিল করা হয়েছে। ফ্ল্যাটে মোট তিনটে খাট ছিল। তিনটে থেকেই বিপুল পরিমাণ টাকার হদিশ মিলেছে। শৈলেশ আশপাশে কারও সঙ্গে সেভাবে মিশতেন না। তবে তিনি যে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট সেটা সকলেই 🍌জানতেন। কিন্তু তাঁর ফ্ল্যাটের একটি দরজা কেন খোলা ছিল? কেনই থরে থরে 𒊎টাকা বাড়িতে এভাবে রাখা ছিল? তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ কী জানতে পেরেছেন? পুলিশ সূত্রে খবর, জালিয়াতির জন্য তৈরি করা হয় লগ্নির অ্যাপ। নামী সংস্থার ভুয়ো লোগো দিয়ে তৈরি করে লগ্নির টো꧒প দেওয়া হতো। বলা হতো, নামী সংস্থায় টাকা লগ্নি করলে তার মোটা সুদ এবং শেয়ারের অংশ মিলবে। বহু বিদেশি ওই অ্যাপের মাধ্যমে ডলার ও পাউন্ড লগ্নি করেন। দেখানো হয়, প্রত্যেকদিনই সেই বিদেশি মুদ্রার বিনিময়ে তাঁর প্রাপ্য শেয়ার বাড়ছে। কিন্তু বিদেশি আমানতকারীরা শেয়ারের অংশ বা লগ্নির টাকা ফেরত চাইলেই তাঁদের বলা হতো, ওই টাকার উপর সরকার কর ধার্য করেছে। সেই করের টাকা দিতে হবে। কেউ সেই করের টাকা হিসাবে বিদেশি মুদ্রা পাঠালে তা আত্মসাৎ করা হতো। কিন্তু আমানতকারী প্রাপ্য টাকা ফেরত পেতেন না।