ট্রেনে ওঠার সময় জানতেন, পুরুলিয়ায় ট্𒐪রেন থামবে। কিন্তু তা তো হলই না, একেবারে আসানসোলে দাঁড়াল ট্রেন😼। এমনটাই অভিযোগ করলেন বেঙ্গালুরু থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী 'শ্রমিক স্পেশ্যাল' ট্রেনের কয়েকজন যাত্রী।
কর্নাটকে আটকে থাকা এ রাজ্যের যাত্রীদের নিয়ꦇে জলপাইগুড়ির উদ্দেশে একটি মঙ্গলবার ট্রেন ছেড়েছিল। সেই ট্রেনে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক যাত্রী ছিলেন। তাঁদের দাবি, ট্রেনের টিকিটের জন্য কোনও ভাড়া লাগবে না বললেও যথারীতি টাকা নেওয়া হয়েছে। তখন বলা হ🐈য়েছিল, পুরুলিয়ায় ট্রেন দাঁড়াবে। কিন্তু পুরুলিয়া স্টেশনে তাঁদের নামতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ প্রায় ২৪ জন যাত্রীর।
পরে আসানসোল স্টেশনে তাঁরা নেমে বিক্ষোভ দেখান। পাশাপাশি অন্য যাত্রীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ যাত্রায় সময়মতো তাঁদের কোনও খাবার বা জল দেওয়া হয়নি। সামাজিক দূরত্বের বিধিও কার্যত মানা হয়নি। শ♋ৌচাগারের অবস্থা তꦉথৈবচ। তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।
বিষয়টি প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের এক মুখপাত্র জানান, বৃহস্পতিবার আসানসোলে স্টেশনে দাঁড়ায় ট্রেনটি। তবে যাত্রীদেꦬর ওঠা বা নামার অনুমতি দওয়া হয়নি। কিন্তু কয়েকজন যাত্রী আর ট্রেনে করে যেতে অরাজি থা🧜কায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আরপিএফ। সেইমতো স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে তাঁদের বাসে করে পুরুলিয়ায় পাঠানো হয়।
তাঁদের হেনস্থার জন্য রেল এবং রাজ্য প্রশাসনের সমন্বয়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন যাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, গন্তব্য স্টেশন ছাড়া রাজ্যের আর্জি 🍬মতো তিনটি স্টেশনে বিশেষ ট্রেন দাঁড়াবে বলে জানিয়েছিল রেল। অর্থাৎ কোথায় কোথায় ট্রেন দাঁড়াবে, তা রেল ও রাজ্যের সমন্বয়ের উপর নির্ভর করছে। আর সেখানে যে ফাঁক রয়েছে, তা বৃহস্পতিবারের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বলে দাবি তাঁদের।