অবশেষে খোঁজ পাওয়া গেল নিহত রেণুকা খাতুনের দেহাংশের। শুক্রবার সকালে তল্লাশি শুরুর পর তিস্তা ক্যানালে বস্তাবন্দি অবস্থায় পাওয়ার রেণুকার♈ ধড়। তবে কাটা মুন্ডুর সন্ধান এখনও মেলেনি।
রেণুকার দেহাংশের খোঁজে বৃহস্পতিবার থেকে তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। কিন্তু সাফল্য মেলেনি। রাতে তিস্তা ক্যানালের লক গেট বন্ধ করে দেন উদ্ধারকারীরা। এর ফলে সকালে ক্যানালের জ🎐ল অনেকটা কমে যায়। যার ফলে সকালে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের গোয়ালটুলির কাছে সুদামগছে বস্তা বন্দি অবস্থায় পাওয়া যায় রেণুকার ধড়।
গত ২৪ ডিসেম্বর বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে রেণুক🅠াকে ফাঁসিদেওয়ায় তিস্তা ক্যানালের পাশে নিয়ে যায় আনসারুল। সেখানে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এই সন্দেহে স্ত্রী রেণুকা খাতুনকে খুন করেন সে। এর পর ছুরি দিয়ে মুন্ডু ও ধড় আলাদা করে তা তিস্তা ক্যানালে ভাসিয়ে দেয়। ওদিকে দিনভর মেয়ের খোঁজ না পেয়ে রাতে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে যান রেণুকার বাবা। সঙ্গে যান আনসারুলও।
বেশ কয়েকদিন🐬 তদন্ত চালানোর পর তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন খুনে হাত থাকতে পারে আনসারুলের। এর পর তাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন আধিকারিকরা। লাগাতার জেরার মুখে বুধবার ভেঙে পড়ে আনসারুল। স্বীকার করে, গত ২৪ ডিসেম্বর রেণুকাকে খুন করে তিস্তা ক্যানালের জলে ভাসিয়ে দিয়েছে সে। গোটা দেহ বস্তায় ঢুকছিল না বলে ছুরি দিয়ে ধড় - মুন্ডু আলাদা করে ফেলেছিল। তার পর দেহাংশ আলাদা আলাদা বস্তায় ভরে ফেলা হয় তিস্তা ক্যানালে।