♌ বর্ষায় সাপের উপদ্রব বাড়ে প্রায় গোটা বাংলায়। তবে যে জেলাগুলিতে সাপের উৎপাত সব থেকে বেশি দেখা যায় তার অন্যতম নদিয়া। চলতি বর্ষাতেই সেখানে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে বহু। এমনকী মারা গিয়েছে এক দুধের শিশুও। সেখানেই এবার দেখা গেল চোখ কপালে ওঠার মতো দৃশ্য। কালাচ সাপের পেট থেকে বেরলো আস্ত আরেকটা কালাচ সাপ।
🅰মঙ্গলবার সাপের পেট থেকে সাপ বেরনোর কিছু ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল সাইটে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার রাত ১০টা নাগাদ শান্তিপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বাইগাছিতে একটি কালাচ সাপ দেখতে পান স্থানীয়রা। সাপটিকে উদ্ধার করার জন্য খবর দেন স্থানীয় এক সর্পবিশারদকে। তিনি এসে দেখেন সাপটি লুকিয়ে রয়েছে একটি জলের পাত্রের নীচে। নাগাল পেতে জলের পাত্রটি উলটে দেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে কালাচ সাপটি মুখ থেকে উগরে দেয় আরেকটি কালাচ সাপ। যা দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান সবাই। এমনকী সাপটিকে উদ্ধার করতে আসা অনুপম সাহাও হতবাক হয়ে যান ওই দৃশ্যে।
♐কোনওক্রমে সাপদুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান তিনি। জানান, বনদফতরের হাতে তুলে দেবেন সাপদুটিকে।
ܫবর্ষায় শান্তিপুর ও লাগোয়া এলাকায় প্রচুর কালাচ সাপ দেখা দিয়েছে। সাপের ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না নীচু এলাকার বাসিন্দারা। তার পরও বাড়িতে বিছানায় বা অন্যত্র সাপের কামড়ের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রাণও যাচ্ছে অনেকের। সর্পবিশেষজ্ঞরা বলছেন, কালাচ সাপ সহজেই উত্তেজিত হয়ে কামড় দেয়। এমনকী ঘুমন্ত মানুষকেও ছাড়ে না তারা। নীচু এলাকার বাসিন্দাদের ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভাল করে মশারি টাঙানো উচিত। শোয়ার আগে বালিশ – বিছানার চাদরের নীচে সাপ রয়েছে কি না তাও দেখে নেওয়া উচিত একবার।