তবে কি তিনিই খড়দহে উপনির্বাচনে দাঁড়াতে চলেছেন? সেই জল্পনার মধ্যেই মঙ্গলবার ‘দুয়ারে ভোজন’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে খড়দহে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আর তাতেই দুইয়ে দুইয়ে চার করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, দুইয়ে দুইয়ে চারই হতে চলেছে।মঙ্গলবার খড়দহে ১,০০০ দুঃস্থ মানুষের হাতে খাবার তুলে দেওয়ার কর্মসূচি আছে। দেওয়া হবে ওষুধও। তার আগে একটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের উদ্বোধন করা হবে। পুর প্রশাসক নীলু সরকারের উদ্যোগে সেই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর বসছে। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বনমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, দমদমের তৃণমূল সাসদ সৌগত রায়রা। সেই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন শোভনদেবও। এমনিতে এবারের বিধানসভা ভোটে খড়দহে সহজ জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু ফলপ্রকাশের আগেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার। সেই আসনে উপনির্বাচনে কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে প্রথম থেকেই জল্পনা ছিল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা ছিল, সেখান থেকে প্রার্থী হতে পারেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের নাম উঠে আসে। সম্প্রতি আবার অভিনেত্রী তৃণা সাহাও দৌড়ে চলে আসেন। তৃণা নিজেও সে কথা জানান। যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, খড়দহ আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে লড়তে চলেছেন শোভনদেব। যিনি বড় ব্যবধানে জিতেও ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সূত্রের খবর, তাঁকে রাজ্যসভায় যাওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাতে অবশ্য ইচ্ছা ছিল না শোভনদেবের। তারপরই খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে শোভনদেবের কার্যত চূড়ান্ত সিলমোহর পড়ে গিয়েছে। খড়দহের তৃণমূলকর্মীরাও সেই ইঙ্গিত পেয়েছেন। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতিও। যদিও তিনিই যে খড়দহ থেকে টিকিট পাচ্ছেন, তা নিজে স্বীকার করেননি শোভনদেব। তিনি জানান, বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে দলের সমস্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারও দল যে দায়িত্ব দেবে, তা পালন করবেন। তবে প্রার্থীর বিষয়ে ঘোষণা করবে দল।