গত কয়েক মাস ধরেই হাওড়া স্টেশনের যাত্রীদের কারও মানিব্যাগ, আবার কারও ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে তিনজনের একটি দলকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর জিআরপি। তাদের নাম হল রাজ আইচ, শেখ কাসেম ও আকাশ হালদার। তাদের কাছ থেকে ৫টি দামি 🦄মোবাইলসহ বেশ কয়েকটি মানিব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মানিব্যাগ ও মোবাইল যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনতাই করা হয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। জানা গিয়েছে, ধৃতেরা রিসিভারের কাজ করত। এরজন্য তারা প্রতিদিন ৭০০ টাকার বিনিময়ে যাত্রী😼দের ছিনতাই হওয়া জিনিসপত্র নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দিত।
আরও পড়ুন: পুলিশ পরিচয় দিয়ে পথচারীদের ▨কাছ থেকে ছিনতাই মোবাইল, মানিব্যাগ, ধৃত ২
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে টহল দিচ্ছিল সোনারপুর জিআরপি। সেই সময় সন্দেহজন তিনজনকে আটক করে জিআরপি। এরপর তাদের তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি মানিব্যাগ এবং মোবাইল ফোন। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, সেগুলি ছিনতাই করা হয়েছিল। হাওড়া স্টেশনের মধ্যে সক্রিয় ছিনতাইবাজরা যাত্রীদের কাছ থেকে জিনিসপত্র ছিনতাই করার পর তাদের হাতে ও🌠ই সময় জিনিস তুলে দিত। ধৃতেরা এরজন্য স্টেশনের বাইরে অপেক্ষা করত। এরপর ধৃতেরা সেই সমস্ত সামগ্রী পৌঁছে দিত ঘুটিয়ারি শরীফে। এর জন্য প্রতিদিন তার🌠া ৭০০ টাকা করে মাইনে পেত। এরপর ঘুটিয়ারি শরীর থেকে চুরি হওয়া জিনিসপত্র বিক্রি করা হত। ধৃতদের আজ বারুইপুর আদালতে তোলা হবে। জানা গিয়েছে, তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ। এরজন্য আবেদন জানাবে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, হাওড়া, শিয়ালদা হল গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। সেখানে প্রতিনিয়ত বহুযাত্রীর ভিড় থাকে। আর সেই সুযোগে যাত্রীদের টাকা, মোবাইল ছিনতাই করে নেয় ছিনতাইবাজরা। আরপিএফ, জিআরপির কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও সেখানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এভাবেই গত বছর হাওড়ায় ছিনতাইবাজদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছিলেন বেলঘড়িয়ার এক বৃদ্ধা। তিনি পা🐟ঁশকুড়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে 💦গিয়েছিলেন। ফেরার সময় হাওড়া স্টেশনে নামলে কয়েকজন যুবক তাঁর কাছে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। এরপর ওই বৃদ্ধাকে স্টেশনের বাইরে নিয়ে গিয়ে তাঁর ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর ব্যাগে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং বেশ কিছু সোনার গয়না ছিল। এছাড়াও, স্টেশনে আরও বেশ কিছু চুরির ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরে প্রথমের দিকে দমদম স্টেশনে এক যাত্রীর মোবাইল ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন যাত্রীরা। তারা ছিনতাইবাজকে মারধর করার পর পুলিশের হাতে তুলে দেন। এমনকী চলন্ত ট্রেনেও বহু ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।