এক কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফ𒁏তার করল পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার পাথরপ্রতিমা এলাকারই🌼 বাসিন্দা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। মাঝরাস্তায় ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। তারপর থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের উপর মানুষের ক্ষোভ জমে রয়েছে। তার মধ্যে আবার এমন একটা ঘটনা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।
এদিকে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম অমিতাভ বারুই। তাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚর বাড়ি পাথরপ্রতিমার রামগঙ্গা রাজরাজেশ্বরপুর এলাকায়। এই অভিযোগে💜 গ্রেফতার করার পর কাকদ্বীপের আদালতে ধৃতকে পেশ করা হয়। আদালত ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার অমিতাভ বারুইকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনায় আবার নিরাপত্তারক্ষীদের হাতেই নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বেলায় এক ছাত্রী কলেজে যাচ্ছিলেন। যখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছাত্রী কলেজে যাচ্ছিলেন তখন রাস্তা ফাঁকাই ছিল। ওই অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার কলেজ ছাত্রীকে একা পেয়ে পথ আটকায়। আর পথেই তাঁর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: কেন ট্রাম বিকল হলেই অবসর নিচ্ছে? নেপথ্যে উঠে এল বিরাট সত্য, ফিট মাত্র ২৫টি
অন্যদিকে এই সিভিক ভলান্টিয়ার বেশ কিছুদিন ধরে কলেজ ছাত্রীকে অনুসরণ করে ছিলেন। তারপরই শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটিয়েছে। নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার পাথরপ্রতিমা কলেজে নবীনবরণ উৎসব ছিল। সেখানেই ছাত্রীটি যাচ্ছিলেন। তখনই তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করা শুরু হয় বলে অভিযোগ। তারপর ছাত্রী বাড়ি ফিরে এসে শ্লীলতাহানি করার বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানান। অভিযুক্ত যে পাথরপ্রতিমা থানারই সিভিক ভলান্টিয়ার সেটাও জানান꧂ পরিবারকে। ছাত্রীর বাবা–মা সমস্ত ঘটনা থানায় জানান। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে পাথরপ্রতিমা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে।
এছাড়া পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে চটজলদি পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ অমিতাভ বারুই নামে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। রবিবার ধৃতকে কাকদ🐟্বীপ আদালতে পেশ করে। বিচারক ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ধরা পড়ার পর পুলিশকে অজুহাত দেয়, ওই ♊ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেম ছিল। কদিন আগে সম্পর্কের টানাপোড়েন হয়। তারপর থেকে ছাত্রী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল না। রাস্তা আটকে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি। তবে ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁদের মেয়েকে মাঝেমধ্যেই উত্ত্যক্ত করত। ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আজ, সোমবার নির্যাতিতা ছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষা ও গোপন জবানবন্দির জন্য পাথরপ্রতিমা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।