মেঘভাঙা বৃষ্টিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপকূল এলাকা এখন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আর বৃষ্টি পড়েই চলেছে। উপকূলের আকাশ কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে। আর তার জেরে উপকূল এলাকার নদীবাঁধগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নামখা♓না কাকদ্বীপ এবং সাগর ব্লকের তিনটি এলাকার বাঁধে বড় ধস নেমেছে। প্রায় দেড়শো মি𝓡টার বাঁধে ধস নেমেছে বলে খবর। তার জেরে গ্রামের পথঘাটে জল ঢোকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, কাকদ্বীপ ব্লকের মন্দিরঘাট এলাকায় সপ্তমুখী নদীর বাঁধেও প্রায় ৫০ মিটার অংশে ধস নামে।
এদিকে সাগরের মহিষামারি এলাকায় হুগলি নদীর বাঁধে গতকালই প্রায় ১০০ মিটার অংশে ধস নেমেছে। তাতে আতঙ্কিত গ্রামবাসী। সাগর, কাকদ্বীপ এবং নামখানা— তিন জায়গায় সেচ দফতর ও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে। আজ, বৃহস্পতিবারও সেখানে বৃষ্টি অব্যাহত বিক্ষিপ্তভাবে। তাতে রাস্তাঘাটে জল থইথই অবস্থাꩵ। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন নাকাল মানুষজন। আজ মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কোটালের জেরে নদী এবং সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে। জোয়ার থাকার সময় সুন্দরবনের নামখানা, সাগর, পাথরপ্রত❀িমা, কাকদ্বীপের বাঁধগুলির উপর নজর রাখছে সেচ দফতর।
অন্যদিকে বকখালি এবং গঙ্গাসাগর সমুদ্রসৈকতে কিছু ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। তাই পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। এই এলাকায় লাগাতার মাইকে প্রচার করা 🔴হচ্ছে। বৃষ্টিতে বাঁধের মাটি নরম হয়ে যায়। তাই যে কোনও মুহূর্তে ভাঙনের আশ♈ঙ্কা থেকেই যায়। এটা ঘটতে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছেন সুন্দরবনের উপকূলের বাসিন্দারা। ব্লক–মহকুমা অফিসে কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। এই বিষয়ে কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যে সমস্ত এলাকার নদীবাঁধে ধস নেমেছে সেগুলি দ্রুত মেরামত করার জন্য সেচ দফতরকে বলা হয়েছে। বৃষ্টি জারি থাকায় কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ‘জুনিয়র অ্যাপয়েন্টি মন্ত্রীরও আমার সঙ্গে আসা উচিত ছিল’, সরকারকে খোঁচা꧅ রাজ্যপালের
আর কী জানা যাচ্ছে? হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সান্ডেলেরবিল পঞ্চায়েতের বাঁকড়া💧 ডোবর গ্রামের ১৩ নম্বর সান্ডেলেরবিল ও ১ নম্বর আমবেড়িয়া চত্বরে নদীবাঁধের পাশে থাকা নদীর চরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের প্রধান পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, ‘নদীর চরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ক্রমশ বাড়ছে সেই ভাঙন। গ্রামবাসীরা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। 🅺ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’ আর গঙ্গাসাগর পঞ্চায়েতের সদস্য বিকাশ দাসের কথায়, ‘সেচ দফতর মহিষামারি এলাকায় বাঁধের কাজ করেছিল। সেখানে এখন ধস নেমেছে। পঞ্চায়েতে খবর দেওয়া হয়েছে।’ পরিস্থিতিতে নজর রেখে হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও শাশ্বতপ্রকাশ লাহিড়ী বলেন, ‘সেচ দফতর দ্রুত কাজ শুরু হবে।’