টাকা দিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের চাকরি কিনতে গিয়ে তৃণমূল নেতার প্রতারণার শিকার তৃণমূলেরই যুব সভাপতি। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার। অভিযোগ, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতার অভিযোগ গ্রহণ করছে না কোনও থানা। প্রতারিত তৃণমূলের যুব সভাপতির দাবি এর পিছনে বড় চক্র রয়েছে।প্রতারিত তৃণমূলের রায়দিঘি ব্লকের কৌতলা এলাকার যুব সভাপতি পৃথ্বীরাজ তাঁতির অভিযোগ, পাথরপ্রতিমা ব্লকের মহেশপুরের বাসিন্দা প্রীতম কালা তাঁর কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে NRS হাসপাতালে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়েছেন। সেই নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে গত ২১ ডিসেম্বর চাকরিতে যোগদান করতে গিয়ে কোনও ক্রমে পালিয়ে বাঁচেন তিনি।পৃথ্বীরাজ বলেন, দলীয় অনুষ্ঠানে প্রীতম কালা নামে পাথরপ্রতিমার ওই তৃণমূল নেতার সঙ্গে পরিচয় হয়। দেবাংশু ভট্টাচার্য, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মতো একাধিক তৃণমূল নেতার সঙ্গে নিজের ছবি দেখায় সে। এর পর একদিন ফোন করে সে জানায়, দলের কর্মীদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে। চাকরি পেতে গেলে ৪ লক্ষ টাকা দিতে হবে। যোগদানের আগে ১ লক্ষ ও পরে ৩ লক্ষ টাকা দিতে হবে। প্রথমে বিষয়টি বিশ্বাস হয়নি আমার। এর পর স্টাম্প পেপারে সই করে আমার সঙ্গে চুক্তি করে যুবক। এর পর আমি ঋণ নিয়ে ১ লক্ষ টাকা তাঁকে দিই। এর পর আমাকে একদিন NRS হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। সেখানে এক ব্যক্তিকে ভুয়ো ডাক্তার সাজিয়ে আমার স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়। এর পর হাতে আসে নিয়োগপত্র। গত ২১ ডিসেম্বর ওই নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে চাকরিতে যোগদান করতে গেলে সুপার জানান, নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। এর পর আমাকে বসিয়ে রেখে পুলিশে ফোন করেন তিনি। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই আমি সেখান থেকে পালাই।পৃথ্বীরাজবাবু বলেন, নিজেকে পাথরপ্রতিমা ব্লকে তৃণমূলের সেক্রেটারি বলে দাবি করতেন প্রীতম। বিভিন্ন তৃণমূল নেতার সঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠতার গল্প করতেন তিনি। পৃথ্বীরাজবাবুর অভিযোগ, প্রতারিত হওয়ার পরে পাথরপ্রতিমা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তারা রায়দিঘি থানায় পাঠিয়ে দেয়। রায়দিঘি থানা আবার বলে পাথরে যান। কেউই অভিযোগ না নেওয়ায় অবশেষে আমি লালবাজারে অভিযোগ জানাই। সেই অভিযোগপত্র এন্টালি থানায় পড়ে রয়েছে বলে জানতে পারি। কিন্তু পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করেনি।তৃণমূলের ওই যুব নেতার দাবি, এর পিছনে বড় কোনও চক্র রয়েছে। নইলে তৃণমূল নেতাকে ফোন করে প্রতারণা করার সাহস সবার হবে না।